প্রচ্ছদ সারাদেশ খুলনা বিভাগ নড়াইলে ১৮ বছররেও নির্মাণ হয়নি বাইপাস সড়ক প্রতিনিয়ত বাড়ছে দুর্ঘটনা!

নড়াইলে ১৮ বছররেও নির্মাণ হয়নি বাইপাস সড়ক প্রতিনিয়ত বাড়ছে দুর্ঘটনা!

উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি:(১৬ নভেম্বর) ২৭৪: ১৮ বছর আগে নড়াইলে চিত্রা নদীর উপর এসএম সুলতান সেতু (সাবেক চিত্রা সেতু) নির্মিত হলেও সেতুর দক্ষিণ প্রান্তে তিন কিলোমিটার বাইপাস সড়ক আজও নির্মিত হয়নি। জানা গেছে, ফলে নড়াইল শহরের ভেতর দিয়ে আঁকা বাঁকা ও সরু পথ হয়ে প্রতিদিন বাস ট্রাকসহ বিভিন্ন ধরণের হাজার হাজার যানবাহন চলাচল করছে। এ সড়ক সংলগ্ন নয়টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকায় শিক্ষার্থীদের আসতে হচ্ছে নানা ঝুঁকি নিয়ে। এতে দুর্ঘটনা বাড়ছে প্রতিনিয়ত। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অন্যতম ব্যস্ততম সড়ক বেনাপোল-যশোর-নড়াইল-ঢাকা মহাসড়ক। নিরাপদ ও সহজ যাতায়াতের লক্ষ্যে ২০০০ সালে নড়াইল শহরতলীতে মাছিমদিয়া-আউড়িয়া পয়েন্টে চিত্রা নদীর ওপর ১১৫.২৮ মিটার দৈর্ঘের এসএম সুলতান সেতু নির্মিত হয়। মূল পরিকল্পনায় শহরতলীর বাসভিটা থেকে আউড়িয়া প্রান্তের মালিবাগ পর্যন্ত ৬.৮ কিলোমিটার বাইপাস সংযোগ সড়ক নির্মাণের কথা ছিল। এরইমধ্যে বাসভিটা থেকে ধোপাখোলা পর্যন্ত তিন কিলোমিটার সড়ক অর্থ বরাদ্দের অভাবে ভূমি অধিগ্রহণ সম্পন্ন না হওয়ায় আজও নির্মিত হয়নি। ফলে বিভিন্ন যানবাহন শহরের ভেতরের দুই কিলোমিটার সরু ও আকা-বাঁকা সড়ক হয়ে চলাচল করছে। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বলেন, অনেক ঝুঁকি নিয়ে তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে হয়। যখন তারা ক্লাস করে বিভিন্ন যানবহনের শব্দে তারা ঠিক মত ক্লাসে মন দিতে পারে না। সড়ক পার হবার সময় অনেক সময় দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। তাদের দাবি দ্রুত এ সড়কে ভারী যানবহন চলাচল বন্ধ হোক। চালকরা বলেন, প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে নড়াইল-ঢাকা, নড়াইল-ফুলতলা (খুলনা), নড়াইল- লোহাগড়া, নড়াইল-কালিয়াসহ বিভিন্ন রুটের যাত্রীবাহী বাস-ট্রাকসহ অসংখ্য গাড়ি চলাচল করে। শহরের মধ্যে দিয়ে ছোট এ সড়কে ১২-১৩টি ঝুঁকিপূর্ণ মোড় রয়েছে। ফলে জনবসতিপূর্ণ সরু সড়কে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করার সময় প্রায় ছোটবড় দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হচ্ছে। অবিভাবকরা বলেন, বাড়ি থেকে ছেলে মেয়েদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠিয়ে সব সময় আতংকে থাকি। প্রায়ই এই সড়কে দুর্ঘটনা ঘটে। একটি মাত্র সড়কের পাশে এতগুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। আমরা ছেলে-মেয়েদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে না পাঠিয়েও পারি না আবার পাঠালেও তাদের কোনো নিরাপত্তা নেই। শহরের মধ্যে দিয়ে এমন বাইপাস সড়ক দ্রুত সরিয়ে নেয়া উচিত। নাম প্রকাশ না করা শর্তে এক ট্রাফিক পুলিশ পরিদর্শক বলেন, বাইপাস সড়ক না হওয়ার কারণে মারাত্মক সমস্যা হচ্ছে। প্রতিনিয়ত যানজন লেগেই থাকছে। শহরের ভেতর দিয়ে যানবাহন চলাচল করায় নানা রকম সমস্যা হচ্ছে। দুর্ঘটনাও ঘটছে প্রায়ই। নড়াইল সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, ভূমি অধিগ্রহণজনিত কারণে সেতু প্রকল্প বাস্তবায়নকালে বাইপাস সড়ক নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে ২০০৬ সালে প্রকল্প শেষ হয়ে যায়। নতুন করে প্রস্তাব করে সেটা অনুমোদন সাপেক্ষে বাইপাস সড়ক নির্মাণ করা যেতে পারে । জরুরিভাবে বাইপাস সড়ক নির্মাণের মাধ্যমে শহরের মধ্য দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ করতে পারলে শিক্ষার্থীসহ সব ধরণের মানুষের ভোগান্তি লাঘব হবে, সেই সঙ্গে দুর্ঘটনার আশংকাও কমে যাবে।#