প্রচ্ছদ রাজনীতি নেতার নির্দেশনা নিতে এসেছিঃ ফখরুল

নেতার নির্দেশনা নিতে এসেছিঃ ফখরুল

লন্ডন সফরে যাওয়া বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের সঙ্গে একটি ইফতার অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে বলেছেন, দেশ এক মহাসংকটে নিপতিত। গণতন্ত্র শৃঙ্খলিত।

দেশের মাটি মানুষের নেত্রী, গণতন্ত্রের মা আজ কারাগারের অন্ধকার প্রকৌষ্ঠে বন্দি। এ অবস্থায় আমাদের প্রিয় নেতার (তারেক রহমান) নির্দেশনা নিতে লন্ডনে এসেছি।

স্থানীয় সময় গতকাল রোববার পূর্ব লন্ডনের হাইস্ট্রিট নর্থ এর দি রয়্যাল রিজেন্সি হোটেলে এ ইফতার অনুষ্ঠানের আয়োজন করে যুক্তরাজ্য বিএনপি। ইফতারপূর্ব আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন তারেক রহমান।

এ সময় মির্জা ফখরুল বলেন, আজ আমাদের দেশনেত্রীকে বিনা দোষে, সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে একটি মিথ্যা মামলায় কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। এটা বানোয়াট মামলা। তিনি আরো বলেন, দেশে আইনের কী করুণ অবস্থা, তা আপনারা সবাই জানেন। সংবিধানের একটি রায়কে কেন্দ্র করে দেশের প্রধান বিচারপতিকে বন্দুকের নলের মুখে দেশ থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। আমরা কার কাছে বিচার চাইতে যাব?

ফখরুল বলেন, সরকার খালেদা জিয়াকে কারাগারে আটকে রেখেছে একটা কারণে। আর তা হলো তারা দেশনেত্রীকে প্রধান প্রতিপক্ষ মনে করে। তারা চাচ্ছে, নেত্রীকে কারাগারে আটকে রেখেই কীভাবে জীবনাবসান ঘটানো যায়।

বিএনপি এই নেতা বলেন, বাধা-বিপত্তি আস‌বে, সংগ্রাম ক‌রে যে‌তে হ‌বে। বিএনপির দু‌র্দি‌নে আমাদের একজন নেতাকর্মীকেও নিজেদের দলে টে‌নে নি‌তে পা‌রেনি সরকার। আমরা খুব আশাবাদী, দে‌শে জাতীয় ঐক্য তৈরি হ‌বে। আমা‌দেরও ঐক্যবদ্ধ হ‌তে হ‌বে। আমরা সেই দি‌নের অপেক্ষায় আছি, যেদিন খালেদা জিয়া কারামুক্ত হ‌বেন এবং তা‌রেক রহমান বী‌রের বে‌শে দে‌শে ফির‌বেন।

তারেক রহমানকে উদ্দেশ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, দেশে মানুষ আতঙ্কে কথা বলতে পারছে না। আন্দোল‌নের মধ্য দি‌য়ে, নানা ঘাত-প্রতিঘাত সহ্য করে আপনি নেতার আসনে আসীন হয়েছেন। আপনার চলার পথ মোটেই কুসুমাস্তীর্ণ ছিল না। আপনার দিকে দেশবাসী প্রত্যাশা নিয়ে তাকিয়ে আছে। দেশকে এই ধ্বংসস্তূপ থেকে তুলে আনার দায়িত্ব আপনাকেই নিতে হবে।

মির্জা ফখরুল বলেন, দেশনেত্রী যখন অবরুদ্ধ অবস্থায় তাঁর কার্যালয় থেকে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিলেন, ঠিক এমনই সময়ে ছোট ছেলের মৃত্যুসংবাদ পান। মায়ের সামনে ছেলের লাশ, কত কষ্টের ভাবা যায়। তাঁর বড় ছেলে আজ নির্বাসিত অবস্থায় আছেন। স্বামী হারিয়েছেন শত্রুর হাতে, বড় ছেলে দেশের বাইরে আর তিনি কারাগারে কষ্টে দিনাতিপাত করছেন।

২০০৮ সালে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যান। এর পর থেকে তিনি সেখানেই অবস্থান করছেন।