প্রচ্ছদ রাজনীতি নিজ আসনে ইভিএমে ভোট চান পার্থ

নিজ আসনে ইভিএমে ভোট চান পার্থ

নিজের আসনে (ভোলা-১) ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট চাইলেন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ।

এজন্য প্রয়োজনে সকল খরচ তিনি নিজেও বহন করতে রাজি আছেন।শুক্রবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদার কাছে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি দিয়েছেন পার্থ।

সিইসির কাছে লিখিত আবেদনে আন্দালিব রহমান পার্থ বলেন, আমি আন্দালিব রহমান পার্থ, চেয়ারম্যান , বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেটি। আমার নির্বাচনী এলাকা ১১৫ ভোলা-১ এর নির্বাচনে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণের জন্য আবেদন জানাচ্ছি। আবেদনের জবাব ২ ডিসেম্বরের মধ্যে দিতে অনুরোধ করেন আন্দালিব রহমান।আবেদনে আন্দালিব রহমান আরও বলেন, ইভিএম ব্যবহারের জন্য সরকারি নিয়ম অনুযায়ী খরচ বহন করতেও আমি রাজি আছি। যদি ব্যালট পেপার চালু করতে সহকারী প্রিসাইডিং অফিসারের আঙুলের ছাপে যেই ২৫ শতাংশ প্রক্রিয়াকরণ করা আছে, এইটাকে কমিয়ে ৫ থেকে ১০ শতাংশ নিয়ে আসে তাহলে আরও স্বচ্ছতা আসবে। বিভিন্ন পত্রিকা সূত্রে জানতে পারলাম যে নির্বাচন কমিশন আপাতত ছয়টি আসনে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ করবে। যদিও আরও অনেক আসনে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণের ব্যবস্থা করার সক্ষমতা ও জনবল নির্বাচন কমিশনের রয়েছে। এ অবস্থায় আমার নির্বাচনী আসনে ইভিএমে ভোট গ্রহণের জোর দাবি জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ১৯ (১) ধারা অনুযায়ী সকল নাগরিকের জন্য সুযোগের সমতা নিশ্চিত করতে রাষ্ট্র সচেষ্ট হইবেন বলিয়া উল্লেখিত। সেক্ষেত্রে অন্য ৬ আসনে ইভিএম ব্যবহার হবে কিন্তু ইসির সক্ষমতা এবং পর্যাপ্ত জনবল থাকা সত্ত্বেও সংবিধানের ১৯(১) ধারা মোতাবেক ভোটাধিকারের মতন একটা গণতান্ত্রিক অধিকার প্রদানের ক্ষেত্রে সমান সুযোগ করা না হলে সেটা অত্যন্ত দুঃখজনক হবে। আশা করি, বাংলাদেশের সংবিধানের আলোকে ভোলা-১ সদর আসনের পক্ষ হতে এই দাবি আপনি বিবেচনা করবেন।’ পার্থ আবেদনে আরও বলেন, এখানে উল্লেখ্য যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ইভিএমের পক্ষে। সুতরাং ভোলা সদর আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী নীতিগতভাবে এর বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে পারেন না। ২০ দলীয় জোট এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ইভিএম ব্যবহারের বিরুদ্ধে থাকা সত্ত্বেও ভোলার জনগণের দাবিকে সামনে রেখে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেটি ভোলা এই আসনে ইভিএম পদ্ধতির জন্য জোর অনুরোধ জানাচ্ছে। অন্যথায় এটা আমার এবং আমার নির্বাচনী আসন ভোলা- ১ (সদর) এর জনগণের প্রতি বৈষম্যমূলক সিদ্ধান্ত হবে, যা কি না বাংলাদেশের সংবিধানের ধারা ২৭ এর পরিপন্থী। এই পত্রের জবার আগামী ২ ডিসেম্বর সকাল ১০ টার মধ্যে দেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।

আগামী ৩০ ডিসেম্বর সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ২ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র বাছাই। প্রার্থিতা প্রত্যাহার ৯ ডিসেম্বর। আর প্রতীক বরাদ্দ ১০ ডিসেম্বর।