প্রচ্ছদ আর্ন্তজাতিক নারীদের যৌন খেলনা হিসেবে দেখে উত্তর কোরিয়া

নারীদের যৌন খেলনা হিসেবে দেখে উত্তর কোরিয়া

উত্তর কোরিয়ায় নারীর ওপর যৌন নিপীড়ন এতোটাই বেশি যে এটি সাধারণ জীবনের অংশ হয়ে গেছে। সেখানে নারীদের মানুষ নয়, যৌন খেলনা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। উত্তর কোরিয়া থেকে পালিয়ে আসা নারীদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ তাদের প্রতিবেদনে এ  কথা বলেছে।

৬২ জন নারীর সাক্ষাৎকারের ওপর ভিত্তি করে এই প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। এসব নারী সাক্ষাৎকারে যৌন নিপীড়ন ও ধর্ষণের সম্পূর্ণ বিবরণ দিয়েছেন।

সংস্থাটি জানিয়েছে, এর মাধ্যমে বিশেষ করে ক্ষমতাধর পুরুষদের হাতে নিপীড়নের উন্মুক্ত সংস্কৃতি, গোপন নিপীড়নের তথ্য উন্মোচিত হয়েছে। যৌন নিপীড়নকারীদের মধ্যে রয়েছে দেশটির ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা, কারারক্ষী, পুলিশ ও সেনা সদস্য।

ওহ জুং-হি নামে ৪০ বছরের এক প্রাক্তন ব্যবসায়ী বলেছেন, ‘তারা আমাদের যৌন খেলনা হিসেবে বিবেচনা করে। আমরা পুরুষদের দয়ার ওপরে আছি।’

তিনি বলেন, ‘কখনো, বাইরে কোথাও, রাতে আপনি কেঁদে উঠবেন কিন্তু কেন তা জানবেন না।’

উত্তর কোরিয়ায় আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপ করা আছে। তাই দেশটির অভ্যন্তরীণ বিষয়ে তথ্য পাওয়া মুশকিল। বিশেষ করে এ ধরণের প্রতিবেদনের তথ্য পাওয়া আরো কঠিন।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানিয়েছে, কয়েকজন নারী জানিয়েছেন, উত্তর কোরিয়ায় যৌন নিপীড়ন এতোটাই স্বাভাবিক বিষয় যে এটাকে তারা আর ‘অস্বাভাবিক’ মনে করেন না। এটাকে তারা নিত্যদিনের জীবনের অংশ বলে মেনে নিয়েছেন। যখন এক কর্মকর্তা কোনো নারীকে তুলে নেয় তখন তার এটি মেনে নেওয়া ছাড়া কোনো উপায় থাকে না।