প্রচ্ছদ সারাদেশ ঢাকা বিভাগ দুর্জয় এমপি’র সহায়তায়  দৃষ্টি শক্তি ফিরে পেল রাফিন

দুর্জয় এমপি’র সহায়তায়  দৃষ্টি শক্তি ফিরে পেল রাফিন

কামরুল হাসান খান:  হতদরিদ্র  পরিবারের  ৪  সন্তানকে নিয়ে কোনমত নুন আনতে পান্তা ফুরোয় এমনভাবে বহু কষ্টে চলছিল দবির উদ্দিনের দৈনন্দীন জীবন।
 দবির উদ্দিন মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার পাচথুবী গ্রামের  মৃত নছের মাতব্বরের পুত্র। তার বাবাও ছিলেন জাতির জনকের একজন একনিষ্ঠ কর্মী ও সাবেক সাংসদ মরহুম অধ্যক্ষ সায়েদুর রহমানের আস্থাভাজন। আওয়ামী পরিবারের সন্তান হওয়ায় তাকেও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক করা হয়।
অভাবের সংসারে কলেজ পড়ূয়া ২ ছেলে -মেয়ে ও প্রাইমারী স্কুলে অধ্যয়নরত ১মেয়ে এবং ছোট ছেলে রাফিনের ব্যয়ভার বহন করাই ছিল তার খুবই কষ্টসাধ্য।
 বিদ্যালয়ে খেলাধুলা করতে গিয়ে গত ২১ ফেব্রুয়ারী  কলমের খোচায় রাফিন(৭) বাম চোখে মারাত্মক আঘাত প্রাপ্ত হয়।
তাৎক্ষনিকভাবে তাকে এলাকায় চিকিৎসা দেয়া হয়।কোন  সুফল না পাওয়ায় পরে  ঢাকার একটি হাসপাতালে তার চোখের অপারেশন করানো হয়। অপারেশনের পর রাফিন তার দৃষ্টি শক্তি হারিয়ে ফেলে।অর্থাভাব ও শিশু সন্তানের দৃষ্টি শক্তি হারানোর কারনে আরো হতভম্ভ হয়ে পড়েন রাফিনের বাবা দবির উদ্দিন।
পরে বিষয়টির ব্যাপারে স্থানীয় নেতাকর্মীদের  মাধ্যমে  মানিকগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য এ.এম নাঈমুর রহমান দুর্জয়কে অবগত করলে তিনি জরুরী ভিত্তিতে রাফিনের  চিকিৎসার সকল ব্যয়ভার গ্রহন করেন।
তার চোখের সফল অস্র-পাচারের পর রাফিন ফিরে পায় দৃষ্টি শক্তি। প্রজ্জলিত হয়ে ওঠে গোটা পরিবারের মলিন মুখগুলো!
এব্যাপারে রাফিনের বাবা জানান, এমপি দুর্জয়ের বাবা সাবেক সাংসদ মরহুম অধ্যক্ষ সায়েদুর রহমান ছিলেন একজন পরোপকারী ব্যক্তিত্ব। তারই সন্তান জননেত্রী শেখ হাসিনার আস্থাভাজন এ.এম নাঈমুর রহমান দুর্জয় ও তার চাইতে কোন অংশে কম নন। তার সহযোগীতায় আমার সন্তান আজ দৃষ্টিহীনতা থেকে মুক্তি পেয়েছে।  এমন ব্যক্তি পাওয়া দূরুহ ব্যাপার।আমি তার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ূ কামনা করছি।
এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট আজিজুল হক বলেন, এমপি দুর্জয় অত্যন্ত সহনীয় ও কোমল মনের অধিকারী সম্পন্ন একজন সরল প্রকৃতির জননেতা। অসহায় ও বিপদগ্রস্থ হয়ে তার দাড়স্থ হলে তিনি কাউকে অবজ্ঞা-অবহেলা করেননি। এলাকার উন্নয়নেও রয়েছে তার ব্যাপক ভূমিকা।আমি তাহার সর্বাঙ্গীন মঙ্গল কামনা করছি।
এ ব্যাপারে সাবেক ক্রিকেটার  এ.এম নাঈমুর রহমান দুর্জয় বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে এলাকার জনপ্রতিনিধি হিসেবে নিযুক্ত করেছেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে এলাকার জনগনের সার্বিক উন্নয়ন,দারিদ্রবিমোচন, শান্তি ও নিরাপত্তা বিধানে নিজেকে নিয়োজিত রাখা এটা  আমার নৈতিক দায়িত্ব এবং কর্তব্য।
তিনি আজীবন  সাধারন মানুষের কল্যানে  নিজেকে নিয়োজিত রাখার আশাবাদ ব্যক্ত করেন এবং সকলের দোয়া কামনা করেন।