সাটুরিয়া থানার এসআই সেকেন্দার হোসেন ও এএসআই মাজহারুল ইসলাম মানিকগঞ্জের এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগের ঘটনায় রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
রুলে ধর্ষণের শিকার তরুণীকে ৫০ লাখ টাকা ক্ষতি পূরণ দেয়ার নির্দেশ কেন দেয়া হবে না তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে, ডাক বাংলোতে দুই পুলিশ কর্মকর্তা কর্তৃক তরুণী ধর্ষণের ঘটনারোধে সরকারের ব্যর্থতা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না রুলে তা-ও জানতে চাওয়া হয়েছে।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি), পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মানিকগঞ্জ, সাটুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) আটজনকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
রোববার এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আজ রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মো. আব্দুল হালিম ও তার সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট জামিউল হক ফয়সাল।
প্রসঙ্গত, এর আগে সাটুরিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সেকেন্দার হোসেন ও সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মাজহারুল ইসলাম গত ১১ ও ১২ ফেব্রুয়ারি ডাক বাংলোতে আটকে রেখে ধর্ষণ ও মাদক সেবন করানোর অভিযোগ করেন সাভারের এক তরুণী।
এরপর জেলা পুলিশ সুপার অভিযোগটি পেয়ে মানিকগঞ্জ সদর সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাফিজুর রহমান ও ডিএসবির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হামিদুর রহমান সিদ্দীকীকে বিষয়টি তদন্তের দায়িত্ব দেন।
তদন্তে প্রাথমিক সত্যতা পায় তদন্ত কমিটির সদস্যরা। ওই ঘটনায় ভুক্তভোগী তরুণী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। এরপর দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করা হয়।