প্রচ্ছদ শিক্ষাঙ্গন ডাকসু নির্বাচন ঘিরে নিরাপত্তার চাদরে ঢাবি

ডাকসু নির্বাচন ঘিরে নিরাপত্তার চাদরে ঢাবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র ইউনিয়ন (ডাকসু) নির্বাচন ঘিরে রোববার সন্ধ্যা ৬টা থেকে ২৪ ঘণ্টা ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

যে কারণে রোববার সকাল থেকে অনেকটাই ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায়।

সরেজমিনে ঘুরে রোববার সকাল থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা অনেকটাই ফাঁকা দেখা গেছে। প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা ছাড়া বহিরাগতদের কোনো ভিড় নেই।

আর ঘণ্টা দু’য়েক পর থেকেই বহিরাগতদের প্রবেশ ঠেকাতে ঢাবি ক্যাম্পাসে শুরু হবে পুলিশের কড়া তল্লাশি। পুরো বিশ্ববিদ্যালয় এলাকাকে সাতটি স্পটে ভাগ করে এই তল্লাশি কার্যক্রম চালানো হবে।

স্পটগুলো হলো- শাহবাগ, নীলক্ষেত, পলাশী, জগন্নাথ হল ক্রসিং, রুমানা ভবন ক্রসিং, দোয়েল চত্বর ও শহীদুল্লাহ হল ক্রসিং।

নির্বাচনের দিন সোমবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এসব স্পটে তল্লাশির মধ্যদিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট ও অনুমোদিত ব্যক্তিদের ভেতরে প্রবেশ করতে দেয়া হবে।

রোববার দুপুর পর্যন্ত ঢাবির বিভিন্ন হলে গিয়ে দেখা যায়, নির্বাচন ঘিরে হলে হলে ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা বসানো হয়েছে। ১৮টি হলে ১১৩টি সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে ডাকসু নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানী বলেন, ডাকসু নির্বাচন ঘিরে সব ধরনের প্রস্তুতি আমরা সম্পন্ন করেছি। ১৮টি হলে ১১৩টি সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে, এসব ক্যামেরা দিয়ে নির্বাচনের পরিস্থিতি সার্বক্ষণিকভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে।

তিনি বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ যাতে কেউ নষ্ট করতে না পারে, সেজন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এখন আমরা ভোটের অপেক্ষায় রয়েছি। নিরাপত্তা, ব্যালট, প্রার্থিতা, হল ম্যানেজমেন্ট, বুথ ও কেন্দ্র সব নির্ধারিত হয়েছে।’

নিরাপত্তা প্রসঙ্গে প্রক্টর বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব নিরাপত্তাকর্মী, হাউস টিউটর, প্রক্টর, সহকারী প্রক্টর, প্রক্টরিয়াল বডি, বিশ্ববিদ্যালয়ের মোবাইল টিম, মোবাইল পুলিশ এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মাঠে রয়েছে।’

এর আগে গতকাল শনিবার ডাকসু নির্বাচনের নিরাপত্তা নিয়ে শাহবাগ থানায় সংবাদ সম্মেলন করেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া।

তিনি বলেন, ‘ডাকসু নির্বাচন ঘিরে শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নয়, এ দেশের প্রত্যেকটি নাগরিকের আগ্রহ রয়েছে। বলা হয়ে থাকে ডাকসু হচ্ছে মিনি ক্যাবিনেট। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর অন্য যে কোনো নির্বাচনের চেয়ে অধিক গুরুত্বপূর্ণ এই নির্বাচন। এ নির্বাচনকে সুষ্ঠু, সুশৃঙ্খল উৎসবমুখর করার জন্য ইতোমধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ এবং অন্যান্য সংস্থার সমন্বয়ে আমরা একটি সুদৃঢ় নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।’