প্রচ্ছদ আর্ন্তজাতিক ট্রাম্পের জরুরি আইনের বিরুদ্ধে ১৬ অঙ্গরাজ্যের মামলা

ট্রাম্পের জরুরি আইনের বিরুদ্ধে ১৬ অঙ্গরাজ্যের মামলা

মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণের জন্যে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জরুরি আইন জারিকে অসাংবিধানিক আখ্যা দিয়ে ১৬ অঙ্গরাজ্যের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

অবিলম্বে তা বাতিল দাবিতে ১৮ ফেব্রুয়ারি ক্যালিফোর্নিয়ার নর্দার্ন ডিস্ট্রিক্ট ফেডারেল কোর্টে এই মামলায় বাদি হয়েছে নিউইয়র্ক, ক্যালিফোর্নিয়া, কলরাডো, কানেকটিকাট, দেলওয়ার, হাওয়াই, ইলিনয়, মেইন, ম্যারিল্যান্ড, মিনেসোটা, নেভাদা, নিউ জার্সি, নিউ মেক্সিকো, ওরেগন, ভার্জিনিয়া এবং মিশিগান। সবকটি অঙ্গরাজ্যই ডেমক্র্যাটদের নিয়ন্ত্রণে।

উল্লেখ্য, মেক্সিকো-যুক্তরাষ্ট্র সীমান্তে উঁচু দেয়াল নির্মাণের জন্যে ৫.৭ বিলিয়ন ডলার চেয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। কিন্তু কংগ্রেস সে অর্থ না দেয়ায় ক্ষুব্ধ ট্রাম্প গত শুক্রবার জরুরি অবস্থা জারি করেছেন। ট্রাম্পের ধারণা, এই জরুরি আইনের পর দেয়াল নির্মাণের অর্থ বরাদ্দে কংগ্রেসের অনুমোদনের প্রয়োজন হবে না।

মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে যে, দেয়াল নির্মাণে কংগ্রেসের অনুমতি লাগবেই। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সীমান্ত এলাকায় জরুরি আইন জারি করে সেই অনুমোদনকে গৌন করে দেখানোর চেষ্টা করেছেন। আর এর মধ্য দিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সাংবিধানিক সংকটের মুখে ঠেলে দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রকে। জরুরি অবস্থা জারির প্রাক্কালে প্রদত্ত বক্তব্যে ট্রাম্প নিজেও স্বীকার করেছেন যে, সীমান্তে দেয়াল নির্মাণের ক্ষেত্র তৈরির জন্যে জাতীয় জরুরি আইন জারির প্রয়োজন ছিল না। কিন্তু খুব দ্রুত কাজটি সম্পন্ন করতে জরুরি আইনের বিকল্প নেই।

১৬ অঙ্গরাজ্যের পক্ষে মামলাটি দায়ের করেছেন ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের এটর্নি জেনারেল জেভিয়ার বিসেরা। এক টুইট বার্তায় জেভিয়ার বলেছেন, ট্রাম্প  জাতীয় জরুরি অবস্থার যে ভুয়া অজুহাত দেখিয়েছেন আমরা তাকে চ্যালেঞ্জ করেছি। এমন আদেশ জারির মাধ্যমে জনসাধারণের সাথে তামশা করা হয়েছে, ট্যাক্সের অর্থ অপচয় ঘটানোর চেষ্টা করা হচ্ছে এবং সংবিধান প্রদত্ত গণতান্ত্রিক অধিকারকে অবদমিত করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, যুক্তরাষ্ট্র সংবিধান যে ক্ষমতা দিয়েছে কংগ্রেসকে, তাও কেড়ে নেয়ার অপচেষ্টা চালানো হয়েছে জরুরি অবস্থা জারির মধ্য দিয়ে। কংগ্রেসের অনুমোদন ব্যতিত প্রেসিডেন্টের কোন ক্ষমতাই নেই সীমান্তে দেয়াল নির্মাণে অর্থ ব্যয় করার।

এর আগে ওয়াশিংটনে আরেকটি মামলা করেছে ‘সিটিজেন ফর রেসপন্সিবিলিটি এ্যান্ড এ্যাথি’ নামক একটি নাগরিক সংস্থা। সে মামলায় বিচার বিভাগকে অভিযুক্ত করা হয়েছে যে, তারা প্রেসিডেন্টকে এমন আদেশ জারি থেকে বিরত করতে ব্যর্থ হয়েছে। আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়নও ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলার প্রস্তুতি নিয়েছে বলে জানা গেছে।