প্রচ্ছদ সারাদেশ খুলনা বিভাগ ঝিনাইদহ ৪ টি আসনে ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপির সবাই নতুন মুখ

ঝিনাইদহ ৪ টি আসনে ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপির সবাই নতুন মুখ

ঝিনাইদহ থেকে, জাহিদুর রহমান তারিকঃ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহের ৪টি আসনে বিএনপি চূড়ান্ত চার প্রার্থী এবার নতুন মুখ। পুরাতন কোন এমপি এবার মনোনয়ন পাননি। শুক্রবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন। ঝিনাইদহ জেলায় চূড়ান্ত করা প্রার্থীরা সবাই নতুন যে কারণে অনেক জল্পনা কল্পনা চলছে। ৪ প্রার্থী এর আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কখন ও মনোনয়ন পাননি জাতীয় নির্বাচনে অংশ করেনি। চূড়ান্ত প্রার্থীরা হলেন, ঝিনাইদহ-৪ আসনে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, ঝিনাইদহ-৩ আসনে বিএনপি-জামায়াতের ২৩ দলীয় জোট ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী অধ্যাপক মতিয়ার রহমান; যিনি ঝিনাইদহ জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি। মতিয়ার রহমান ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করবেন। ঝিনাইদহ-২ আসনে জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও হরিণাকুন্ডুু উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট এমএ মজিদ। ঝিনাইদহ-১ আসন থেকে চূড়ান্ত মনোনয়ন পেয়েছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আসাদুজ্জামান আসাদ। চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা ঘোষণার মধ্যে দিয়ে আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে ছিটকে গেছেন ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সভাপতি ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাবেক সংসদ সদস্য মসিউর রহমান এবং স্থায়ী কমিটির সদস্য ও শৈলকুপা উপজেলা সভাপতি আবদুল ওহাব। দুর্নীতির মামলায় মসিউর রহমানের ১০ বছর এবং আবদুল ওহাবের ৮ বছরের কারাদন্ডাদেশ থাকায় তাদের প্রার্থীতা বাতিল হয়। আবদুল ওহাব ঝিনাইদহ-১ আসনের দুই মেয়াদে সংসদ সদস্য ছিলেন। আর মসিউর রহমান ঝিনাইদহ-২ আসনে এক টানা পর পর ৪ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এ ছাড়া দলের চূড়ান্ত মনোনয়ন থেকে বঞ্চিত হয়েছেন ঝিনাইদহ-৪ আসনের ৪ মেয়াদে নির্বাচিত সংসদ সদস্য শহীদুজ্জামান বেল্টু। আর ঝুলে আছে বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী মনির খান ও প্রয়াত সংসদ সদস্য মাস্টার শহিদুল ইসলামের ছেলের ভাগ্য। এই দুইজনই ঝিনাদহ-৩ আসনে ধানের শীষের প্রাথমিকে মনোনয়ন পেয়েছেন। তবে রাজনৈতিক মহলে জোর আলোচনা, আসনটি জামায়াতকে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে বলে এমন প্রচার রয়েছে। অবশ্য ঐক্যফ্রন্টে ও বিএনপির মনোনয়ন ঘোষনার পর নেতা কর্মীরা অনেকটা নড়াচড়া শুরু করেছে।