প্রচ্ছদ আজকের সেরা সংবাদ জোটের সমাবেশ থেকে ১৮ দফা ইশতেহার ঘোষণা এরশাদের

জোটের সমাবেশ থেকে ১৮ দফা ইশতেহার ঘোষণা এরশাদের

ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সম্মিলিত জাতীয় জোটের মহাসমাবেশ থেকে ‘সুশাসনের লক্ষ্যে ও জাতির মুক্তির পথে’ ১৮ দফা ইশতেহার ঘোষণা করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।

তার এই ১৮ দফার মধ্যে প্রাদেশিক সরকার গঠন করে প্রশাসনের বিকেন্দ্রীকরণ, নির্বাচন পদ্ধতি ও নির্বাচন কমিশনের সংস্কার ও পুনর্গঠন এবং সন্ত্রাস দমনে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি রয়েছে।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নিজেদের ‘শক্তিমত্তার’ জানান দিতে সোহরাওয়ার্দীতে এরশাদ নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত জাতীয় জোটের এই মহাসমাবেশের আয়োজন।

শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় শুরু হওয়া এই মহাসমাবেশ মঞ্চে এরশাদের পাশেই রয়েছেন পার্টির সিনিয়র কো চেয়ারম্যান সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ এবং কো চেয়ারম্যান জি এম কাদের।

এছাড়া জাতীয় পার্টির মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদারসহ প্রেসিডিয়াম সদস্যরা এবং জোটের শরিক বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, জাতীয় ইসলামী মহাজোটের নেতারাও সভামঞ্চে উপস্থিত আছেন।

জাতীয় পার্টির নেতারা বলেছেন, ৩০০ আসনে নির্বাচনের প্রস্তুতি এবং নেতা-কর্মীদের চাঙ্গা করাই তাদের এ মহাসমাবেশের উদ্দেশ্য।

এই মহাসমাবেশ ঘিরে গত কয়েক দিন ধরেই দলীয় নেতাদের ছবিসহ ‘চলো চলো, ঢাকা চলো’ স্লোগানে পোস্টার ও ব্যানার দেখা যাচ্ছিল ঢাকার বিভিন্ন রাস্তায়।

গত ৮ সেপ্টেম্বর জাতীয় পার্টির এক যৌথসভায় এরশাদ ৬ অক্টোবর সোহরাওয়ার্দীতে এই মহাসামবেশ করার ঘোষণা দিলেও তার সিঙ্গাপুর সফর এবং বিভিন্ন জেলা ও মহানগরের সম্মেলনসহ বিভিন্ন কর্মসূচির কারণে মহাসমাবেশের তারিখ পিছিয়ে ২০ অক্টোবর নতুন তারিখ রাখা হয়।

এই মহাসমাবেশের আগে বিভিন্ন জেলা সফর করেন জাতীয় পার্টি ও সম্মিলিত জাতীয় জোটের নেতারা। পটুয়াখালী, বরিশাল, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, রংপুর, খুলনা ও সিলেটসহ বিভিন্ন জেলায় কর্মীসভা করা হয়। এছাড়া গত ১৩ অক্টোবর বনানীতে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের অফিসে সাম্মিলিত জাতীয় জোটের শীর্ষ নেতাদের এক বৈঠকে প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনাও করা হয়।

জাতীয় পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন বলেন, “অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে জাতীয় পার্টি এখন অনেক বেশি শক্তিশালী। আগামী নির্বাচনে জাতীয় পার্টি সাধারণ মানুষের রায় নিয়ে একটি আধুনিক ও নিরাপদ বাংলাদেশ গড়তে চায়। এই মহাসমাবেশ দেশের রাজনীতিতে একটা ইতিবাচক বার্তা দেবে। মহাসমাবেশের মাধ্যমে আমরা অন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে দেখাতে চাই আমাদের শক্তিমত্তা। ভোটের রাজনীতিতে আমরাও যে বড় ভূমিকা রাখতে পারি, এটা দেখিয়ে দিতে চাই।”