প্রচ্ছদ শিক্ষাঙ্গন জাবি ছাত্রের গাঁজা খাওয়ার অনুমতি চেয়ে আবেদন

জাবি ছাত্রের গাঁজা খাওয়ার অনুমতি চেয়ে আবেদন

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের এক ছাত্র গাঁজা খাওয়ার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছেন। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনেছেন এক ছাত্রী। হয়রানির বিচার চেয়ে গতকাল সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়নবিরোধী সেলে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী ছাত্রী।অভিযুক্ত ছাত্রের নাম কিশোর কুমার দাস।

তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের ৪১তম ব্যাচের ছাত্র। তবে তিনি রিপিটার হয়ে এখন ৪৩তম ব্যাচের সঙ্গে ক্লাস করছেন। পূর্বে তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন বলে জানা যায়। তিনি মওলানা ভাসানি হলের আবাসিক ছাত্র। তবে বর্তমানে তিনি হলে থাকেন না।এ বিষয়ে বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল মান্নান এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ওই ছেলে (কিশোর কুমার) মাদকাসক্ত। সে এর আগে আমার কাছে গাঁজা খাওয়ার অনুমতি চেয়ে লিখিত আবেদন করেছিল। পরে আমি সেই আবেদন প্রক্টর বরাবর পাঠিয়ে দেই। সে বলে গাঁজা নাকি খুব ভালো জিনিস।’

তিনি আরও বলেন, ‘আজও এক ছাত্রী তার রুদ্ধে ইভটিজিংয়ের অভিযোগ নিয়ে এসেছিল। আমি তাদেরকে বলেছি যৌন নিপীড়ন সেলে অভিযোগ করার জন্য। কারণ যৌন নিপীড়নের বিষয়ে বিভাগ কোনও ব্যবস্থা নিতে পারে না।’

লিখিত অভিযোগ ওই ছাত্রী বলেন, ‘কিশোর কুমার দাস গেল রোববার দুপুর দেড়টার দিকে বিভাগের ছাদে আমাকে যৌন হয়রানিমূলক অশালীন কথাবার্তা বলে। এই ঘটনায় প্রতিবাদ করলে দেখে নেয়ার হুমকি দেয় সে। এই অবস্থায় সেই আমি বিভাগে যাতায়াতের জন্য অনিরাপদ বোধ করছি।’তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী তার সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান।

ভুক্তভোগী ছাত্রীর সহপাঠীরা জানায়, সোমবার বিভাগের সিঁড়ি দিয়ে নামার সময় কিশোর কুমার দাস ফের ওই ছাত্রীকে যৌন হয়রানিমূলক কথাবার্তা বলে। পরে সহপাঠীরা কিশোর কুমারকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গেলে সে কাপড় কাটার ক্যাচি দিয়ে তাদেরকে মারতে আসে। এসময় শিক্ষার্থীরা তাকে গণপিঠুনি দেয়।

পরে শিক্ষকরা তাকে উদ্ধার করে।এ বিষয়ে জানতে কিশোর কুমারের ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে কল করা হলে বন্ধ পাওয়া যায়। তবে তার সহপাঠীরা জানায় সে প্রচুর মাদকাসক্ত হওয়ায় মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে পেলেছে। কার সঙ্গে কী বলে সে নিজেও জানে না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর  মো. জুরকারাইন বলেন, ‘তাকে আমরা পরীক্ষার হল থেকে গাঁজাসহ ধরে প্রক্টরিয়াল অফিসে নিয়ে আসি। জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়, গাঁজা খুবই উপকারী জিনিস, গাঁজা খেলে আমার পরীক্ষা ভালো হয়। তাই আমাকে গাঁজা খাওয়ার অনুমতি দিন নতুবা আমাকে শাস্তি দিন। পরে আমরা তাকে মানসিক ভারসাম্যহীন বুঝতে পেরে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তরের চিন্তা করছি।’