প্রচ্ছদ আর্ন্তজাতিক চীনের গোপন ক্যাম্পে আটক ১০ লাখ উইঘুর মুসলিম: জাতিসংঘ

চীনের গোপন ক্যাম্পে আটক ১০ লাখ উইঘুর মুসলিম: জাতিসংঘ

জাতিসংঘের একটি মানবাধিকার কমিটি বলছে, চীন ১০ লাখ উইঘুর মুসলিমকে ‘চরমপন্থাবিরোধী কেন্দ্রে’ আটক করে রেখেছে বলে তাদের কাছে বিশ্বাসযোগ্য খবর রয়েছে। চীন নিয়ে জাতিসংঘের দুই দিনব্যাপী এক বৈঠকে এই দাবি করেছেন জাতিসংঘের জাতিগত বৈষম্য নির্মূল কমিটির একজন সদস্য গে মকডোগাল। খবর বিবিসির।

তিনি বলেছেন, বেইজিং ‘স্বায়ত্তশাসিত ‍উইঘুর অঞ্চলকে একটি বড় বন্দি শিবিরে পরিণত’ করেছে এমন খবরে তিনি উদ্বিগ্ন। এদিকে জাতিসংঘের এমন অভিযোগের পর চীনের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

৫০ সদস্যের এই প্রতিনিধি দলটি জানিয়েছে, তারা সোমবার জেনেভায় অধিবেশন চলাকালে এ বিষয়টি তুলে ধরবে। এর আগে অবশ্য বেইজিং এ ধরনের কোনও শিবিরের অস্তিত্ব অস্বীকার করেছিল।

জাতিগত সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলমানরা সাধারণত চীনের জিনজিয়াং প্রদেশেই বসবাস করেন। সেখানকার জনসংখ্যার প্রায় ৪৫ ভাগই উইঘুর মুসলিম। তিব্বতের মতো জিনজিয়াং প্রদেশও আনুষ্ঠানিকভাবে চীনের ভেতর অবস্থিত একটি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল।

গেল কয়েক মাস ধরেই এমন খবর শোনা যাচ্ছে যে, জিনজিয়াংয়ে উইঘুর সম্প্রদায় ও অন্যান্য সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষজনকে আটক করছে চীনা কর্তৃপক্ষ।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও হিউম্যান রাইটস ওয়াচসহ বিভিন্ন মানবাধিকার গ্রুপ জাতিসংঘের কমিটির কাছে যে প্রতিবেদন দিয়েছে তাতে দেখা গেছে কর্তৃপক্ষ সংখ্যালঘু মুসলিমদের ব্যাপকভাবে বন্দি বানাচ্ছে। তারা বলছে, এইসব শিবিরে বন্দি ব্যক্তিদের জোর করে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের প্রতি বিশ্বস্ত হতে শপথ করানো হয়।

ওয়ার্ল্ড উইঘুর কংগ্রেস জানিয়েছে, বন্দিদের কোনও ধরনের অভিযোগ ছাড়াই অনির্দিষ্টকালের জন্য আটকে রাখা হয় এবং তাদের কমিউনিস্ট পার্টির স্লোগান দিতে বাধ্য করা হয়। তারা জানাচ্ছে, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এসব বন্দিদের ঠিকমতো খাবার খেতে দেয়া হয় না এবং তাদের ওপর নির্যাতনও চালানো হয়।

সংগঠনটি আরও জানাচ্ছে, অধিকাংশ বন্দির ক্ষেত্রেই যেহেতু কোনও অভিযোগ গঠন করা হয় না তাই তারা কোনও আইনি সহায়তাও পান না। অভিযোগ রয়েছে, ধর্মীয় সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কথা বলে এ ধরনের বন্দি শিবির চালাচ্ছে চীন।