প্রচ্ছদ আজকের সেরা সংবাদ চাল মজুদ আছে, দাম বাড়বে কেন: খাদ্যমন্ত্রী

চাল মজুদ আছে, দাম বাড়বে কেন: খাদ্যমন্ত্রী

সদ্য দায়িত্ব নেয়া খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, বাজারে অযৌক্তিক কারণে অস্বাভাবিকভাবে চালের দাম বৃদ্ধির কোনো সুযোগ নেই। দেশ হিসেবে আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছি অনেক আগে। ইতোমধ্যে প্রয়োজনের চেয়ে অনেক বেশি চাল ও খাদ্য শস্য মজুদ আছে। তারপরও চালের দাম বাড়বে কেন?

বৃহস্পতিবার খাদ্য অধিদপ্তরে খাদ্যমন্ত্রীর সাথে চাল ব্যবসায়ী সমিতি, আড়তদার ও অটো চাল মিল মালিকদের মতবিনিয়ময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

নির্বাচনের পরপরই হঠাৎ এক লাফে প্রতি কেজি চালের দাম ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পাওয়ায় এই মতবিনিয় সভার আয়োজন করা হয়।

সভায় খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এসব কথা বলেন।

সভায় বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সিও উপস্থিত ছিলেন।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে কৃষক ধান উৎপাদন করে, সেই ধান প্রক্রিয়াজাত করে খুচরা বিক্রেতার কাছে পৌঁছে দেয় মিল মালিকরা। আর সেই খুচরা ব্যবসায়ীরা সাধারণ ভোক্তাদের কাছে পৌঁছে দেয়। এখানে তিন স্তরে মধ্যস্থতাকারী থাকে। চালের দাম বাড়লে এই তিন পর্যায়ের অংশগ্রহণকারীদের দায় নিতে হবে।

তিনি বলেন, আমি বিষয়টি গণমাধ্যমে দেখার সঙ্গে সঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে সংশ্লিষ্টদের ডেকেছি। আমরা এখানে বিস্তারিত কথা বলব। এর সমাধানের উপায় খুঁজে বের করব। কারণ বিষয়টি একেবারেই সাধারণ মানুষের সঙ্গে সম্পৃক্ত, যোগ করেন খাদ্যমন্ত্রী।

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন সদ্য দায়িত্ব নেওয়া বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সি। তিনি বলেন, আমার যদিও খাদ্যের বিষয়ে কোনো কাজ নেই। কিন্তু চালের দাম বৃদ্ধি পেলে আমার জবাবদিহিতা রয়েছে। ফলে আমি খাদ্যমন্ত্রীর কাছে জানার পরপরই সম্মতি দিয়েছি, বিষয়টি নিয়ে আমাদের বসতে হবে।

টিপু মুন্সি বলেন, আমি পরিস্কার বলতে চাই যে দেশে খাদ্য মজুদ থাকে সেই দেশে হুটহাট খাদ্যের দাম বৃদ্ধি পেতে পারে না। এটা আমাদের খতিয়ে দেখতে হবে। যেকোন মূল্যে চালের দাম স্বাভাবিক রাখতে কাজ করতে হবে।

মতবিনিময় সভায় নওগাঁ জেলা চাল কল মালিক নেতা নায়েব আলী বলেন, আমরা জাস্ট ধান ক্রয় করে প্রক্রিয়াজাত করে বাজারে চাল বিক্রি করি। এখানে সামান্য লাভ রেখে আমরা চাল ছেড়ে দেই। চালের দাম বৃদ্ধির বিষয়টি আমাদের উপর বর্তায় না। এটা প্রতিরোধে খুচরা ব্যবসায়ীদের প্রতি নজর দিতে হবে।

আরেক চাল কল মালিক সমিতির নেতা বেলাল হোসেন বলেন, আমরা অটো রাইস মিল মালিকরা যে চাল ৪৭ টাকা কেজি দরে বিক্রি করি সেটা ঢাকায় এসে প্রতি কেজি ৭০ থেকে ৭৮ টাকা করে হয় কেমনে? এটা আমাদেরও প্রশ্ন। অযথা চাল মিল মালিকদের দোষারোপ করবেন না। এটা আমাদের প্রতি অন্যায় হবে। কোথায় এই সমস্যা আছে সেটা সঠিক তদারকি করতে হবে।

এসময় দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা চাল ব্যবসায়ী ও মিল মালিকরা বক্তব্য দেন।