প্রচ্ছদ জাতীয় ‘ঘূর্ণিঝড় বুলবুলে ২৬৩ কোটি টাকার ফসল নষ্ট’

‘ঘূর্ণিঝড় বুলবুলে ২৬৩ কোটি টাকার ফসল নষ্ট’

ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে দেশের উপকূলীয় ও তার আশেপাশের ১৬টি জেলার ১০৩টি উপজেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বুলবুলের আঘাতে সারাদেশে ২২ হাজার ৮৩৬ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার পরিমাণ ৭২ হাজার ২১২ মেট্রিক টন। যার আর্থিক মূল্য ২ শত ৬৩ কোটি ৫ লাখ টাকা।

তবে এ কারণে বাজারে প্রভাব পড়বে না বলে মনে করেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। আজ মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সকালে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেন কৃষিমন্ত্রী।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে দেশের উপকূলীয় ও তার আশেপাশের ১৬ জেলার ১০৩টি উপজেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, নড়াইল, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, বরগুনা, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, শরীয়তপুর, নোয়াখালী, ফেনী এবং লক্ষ্মীপুরসহ মোট ১৬ জেলার রোপা আমন, শীতকালীন শাক সবজি, সরিষা, খেসারি, মসুর ও পান ফসলের ক্ষতি হয়েছে। এরমধ্যে ২ লাখ ৩৩ হাজার ৫৭৪ হেক্টর রোপা আমনের ক্ষতি হয়েছে, ১৬ হাজার ৮৮৪ হেক্টর জমির শীতকালীন সবজি, ১ হাজার ৪৭৬ হেক্টর জমির সরিষা, ৩১ হাজার ৮৮ হেক্টর জমির খেসারি, ১৯৫ হেক্টর জমির মসুর ডাল, ২ হাজার ৬৬৩ হেক্টর জমির পান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সব মিলিয়ে ২২ হাজার ৮৩৬ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যা দেশের মোট ফসলী জমির ৮ শতাংশ। আর ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের সংখ্যা ৫০ হাজার ৫০৩ জন।

কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক জানান, ঘূর্ণিঝড়ে কৃষকদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। অতিরিক্ত কৃষি পুর্নবাসন কর্মসূচি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। নতুনভাবে বরাদ্দকৃত অর্থ দ্রত ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের হাতে পৌঁছে দেওয়া হবে। এরই মধ্যে মাঠ পর্যায়ে কর্মকর্তাদের শুধু ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পাশেই নয়, সকল কৃষকদের সুযোগ সুবিধা নিয়মিত দেখভালের দিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

তিনি জানান, চলতি রবি পরবর্তী খরিপ-১ মৌসুমে ৬৪টি জেলায় ৮০ কোটি ৭৩ লাখ ৯১ হাজার ৮ শ টাকার কৃষি প্রণোদনা কার্যক্রম বাস্তবায়ন হচ্ছে। এতে গম, ভূট্টা, সরিষা, সূযর্মুখী, চীনাবাদাম, শীতকালীন সবজি, শীতকালীন মুগ, পেঁয়াজ, গ্রীষ্মকালীন মুগ, তিন ফসলে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের বিনামূল্যে বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণের কর্মসূচি চলমান রয়েছে।