প্রচ্ছদ সারাদেশ খুলনা বিভাগ ঘূর্ণিঝড় ফণী : আতঙ্কিত বাগেরহাটের উপকূলবাসী

ঘূর্ণিঝড় ফণী : আতঙ্কিত বাগেরহাটের উপকূলবাসী

উপকূলে ধেয়ে আসা শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে মোংলাবন্দরে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত জারি করা হয়েছে। আর এই বিপদ সংকেত জারির পর থেকে ফণীর আঘাতের আশঙ্কায় সাধারণ মানুষের মধ্যে ঘূর্ণিঝড় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

তবে জেলা প্রশাসন দফায় দফায় বৈঠক করে দুর্যোগ মোকাবেলায় নানা ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।এদিকে মোংলাবন্দরে পণ্য ওঠা-নামার কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বন্দর জেটি ও আউটার এ্যাংকরেজে অবস্থানরত ১৬ জাহাজসহ সব ধরনের পণ্যবাহী লাইটার জাহাজকে বন্দরের পশুর চ্যানেল থেকে সরে গিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

৭ নম্বর বিপদ সংকেত জারির পর বৃহস্পতিবার দিনভর বাগেরহাটের শরণখোলা, মোংলা ও রামপাল উপজেলায় মাইকে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে সতর্ক বার্তা প্রচার করা হচ্ছে। নিরাপত্তার কারণে সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের শেলারচর বন বিভাগের অফিস বন্ধ করে সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সরিয়ে আনা হয়েছে।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার তালুকদার দুদিন ধরে মোংলা ও রামপাল উপজেলা প্রশাসনের প্রস্তুতিমূলক সভায় যোগ দিয়ে স্থানীয় প্রশাসনকে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণের নির্দেশনা দিয়েছেন।

তিনি বলেন, মানুষ আগের থেকে অনেক সচেতন হয়েছে। তারপরও তাদের নানা ভাবে সচেতন করা হচ্ছে। ঘূর্নিঝড়ের আগেই সাধারণ মানুষদের আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।এদিকে প্রবল প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড় ফণী মোকাবেলায় বাগেরহাট জেলা প্রশাসন দফায়-দফায় প্রস্তুতি সভা করছে।

জেলা প্রশাসক তপন কুমার বিশ্বাসের সভাপতিত্বে বৃহস্পতিবার বিকেলে সভায় জানানো হয় বাগেরহাট জেলার ২৩৪টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জেলা সদরসহ ৯টি উপজেলার প্রতিটিতে একটি করে কন্টোল রুম খোলা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৮৬টি মেডিকেল টিম। জেলার সরকারী কর্মকতা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।

নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, রেড ক্রিসেন্ট ও বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থার কয়েক হাজার উদ্ধার কর্মীদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে। মজুদ করা হচ্ছে শুকনা খাবার ও সুপেয় পানি।