প্রচ্ছদ রাজনীতি গ্রেপ্তার-মামলা নিয়ে বিকালে সংবাদ সম্মেলনে আসছেন ড.কামাল

গ্রেপ্তার-মামলা নিয়ে বিকালে সংবাদ সম্মেলনে আসছেন ড.কামাল

সংবাদ সম্মেলনে আসছেন ড.কামাল: বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের অব্যাহতভাবে গ্রেপ্তার-মামলা দায়েরের পরিপ্রেক্ষিতে আজ শনিবার বিকালে সংবাদ সম্মেলনে আসছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন।

গতকাল শুক্রবার রাতে বৈঠকের পর ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর একথা জানান।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, শনিবারই ড. কামাল হোসেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের একটি সংবাদ সম্মেলন করবেন। আমরা আশা করছি, বিকাল ৩টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হবে।’

তফসিল ঘোষণার পর থেকে গ্রেপ্তারের ঘটনা তুলে ধরে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘এই নির্বাচনে গণতান্ত্রিক নেতাকর্মীরা যাতে মাঠে থাকতে না পারেন, এই নির্বাচনে তাঁরা যেন অংশগ্রহণ করতে না পারেন, সেই পুরনো কায়দায় মিথ্যা মামলায় যাদের আসামি করা হচ্ছে, তাদেরকে পুলিশ গ্রেপ্তার করছে, গায়েবি মামলায় গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। যারা প্রার্থী তাদেরকেও গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। নির্বাচনের যে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তার ন্যূনতম অবস্থা এখন নেই।’

‘আমরা এই অবস্থার পরিবর্তন চাই। অবিলম্বে গ্রেপ্তার বন্ধ করতে হবে, ঘরে ঘরে তল্লাশি বন্ধ করতে হবে। নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে হবে। যাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে অবিলম্বে তাদের মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে তার জন্য সরকার ও নির্বাচন কমিশন দায়দায়িত্ব বহন করবে।’

ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র বলেন, ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট যেকোনো অবস্থাতে নির্বাচনে থাকবে এবং যেকোনো অবস্থায় জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য ঐক্যবদ্ধভাবেই তারা আন্দোলন করবে।’

এ সময় ঐক্যফ্রন্টের শরিকদের সঙ্গে আসন বন্টনের কোনো আলোচনা হয়েছে কি না জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘আসন বন্টনের হিসাব পাবেন ২ ডিসেম্বরের পরে। অর্থাৎ বাছাই হয়ে গেলে আমরা আপনাদের চূড়ান্ত হিসাব জানতে পারব।’

নির্বাচনী ইশতেহার নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহার প্রণয়নের কাজ চলছে। খুব শিগগিরই আপনারা ইশতেহারও দেখতে পারবেন।’

বৈঠকে ক্ষমতাসীন দলের মন্ত্রী ও নেতারা ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন সম্পর্কে ‘কটুক্তি’ করছেন উল্লেখ করে এর নিন্দা জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে কারাবন্দি ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে ‘বেআইনিভাবে’ আটক করে রাখা ও জামিন না দেওয়ার ঘটনারও নিন্দা জানানো হয়।

গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে গতকাল ঐক্যফ্রন্টের এই বৈঠক হয়। একাদশ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের পর জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির প্রথম বৈঠক এটি।

বিএনপি, গণফোরাম, জেএসডি, নাগরিক ঐক্য, জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ নিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠিত। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে গতকালকের বৈঠকে বিএনপির মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মওদুদ আহমদ, গণফোরামের মোস্তফা মহসিন মন্টু, সুব্রত চৌধুরী, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী, হাবিবুর রহমান তালুকদার, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, শহীদুল্লাহ কায়সার, মোমিনুল ইসলাম, জাহেদ উর রহমান, জেএসডির আবদুল মালেক রতন, জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সুলতান মো. মনসুর, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।