প্রচ্ছদ আজকের সেরা সংবাদ গোখাদ্য, গাভীর দুধ ও দইয়ে ক্ষতিকর কেমিক্যাল?

গোখাদ্য, গাভীর দুধ ও দইয়ে ক্ষতিকর কেমিক্যাল?

দেশে গোখাদ্যের শতকরা ৬৯ থেকে ১০০ ভাগে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর কেমিক্যাল ব্যবহৃত হচ্ছে বলে এক গবেষণা প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে।

রোববার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ন্যাশনাল ফুড সেফটি ল্যাবরেটরির অ্যাক্রিডিটেশন সনদ অর্জন এবং দুগ্ধ ও দুগ্ধজাত খাবারের মান সম্পর্কিত গবেষণা কাজের ফলাফল প্রকাশনা অনুষ্ঠানে এই তথ্য তুলে ধরা হয়।জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের কনফারেন্স রুমে ফলাফল প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, গো-খাদ্যে যেসব কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয় তার মধ্যে পেস্টিসাইড, ক্রোমিয়াম, টেট্রাসাইক্লিন, এনরোফে্লাক্সাসিন, সিপ্রোসিন ও আলফাটক্সিন উল্লেখযোগ্য। সেই সঙ্গে গাভীর দুধ এবং প্যাকেটজাত দুধ ও দইয়ে বিভিন্ন পরিমাণে পেস্টিসাইড, টেট্রাসাইক্লিন, সীসা ও বিভিন্ন অনুজীব পাওয়া যায়।

প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে গাভীর দুধের ৯৬টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। গাভীর দুধ ও গোখাদ্য সরাসরি খামার থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। বিভিন্ন সুপার স্টোর থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে বাজারে প্রচলিত প্রায় সব ব্র্যান্ডের প্যাকেটজাত তরল দুধ এবং আমদানি করা প্যাকেট দুধ। এগুলো নির্দিষ্ট নিয়মে ল্যাবরেটরিতে পৌঁছানোর পর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে।

প্রায় সব গোখাদ্যে সহনীয় মাত্রার চেয়ে বেশি অ্যান্টিবায়োটিকের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। কীটনাশকও মিলেছে কোনও কোনও খাবারে। সিসা ও ক্রোমিয়ামও আছে বলে প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়।এগুলো মানুষের রোগ প্রতিরোধ শক্তির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। আর সিসা ও ক্রোমিয়াম ক্যানসার সৃষ্টিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সভাপতি প্রফেসর ডা. আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব (স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ) মো. আসাদুল ইসলাম, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ)-এর নেতা ডা ইকবাল আর্সলান, জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের পরিচালক নির্মল সেন প্রমুখ।