প্রচ্ছদ শিক্ষাঙ্গন গায়ে পানি পড়ায় রাবি শিক্ষার্থীকে ছাত্রলীগ নেতার মারধর

গায়ে পানি পড়ায় রাবি শিক্ষার্থীকে ছাত্রলীগ নেতার মারধর

রাবি প্রতিনিধি: গায়ে পানি পড়া ও সিগারেট কিনে না দেওয়ায় রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ে (রাবি) আবাসিক হলের এক শিক্ষার্থীকে রড দিয়ে পেটানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে সিগারেট ও রড দিয়ে পেটানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা। শনিবার দুপুরে বিশ^বিদ্যালয়ের শহীদ হবিবুর রহমান হলে এ ঘটনা ঘটে।

মারধরের শিকার শিক্ষার্থীর নাম রাজেশ মাহাতো। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ও হবিবুর রহমান হলের তৃতীয় ব্লকের ৪৪১ নামার কক্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী।

অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা মোস্তাকিন পাভেল। সে রাবি শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক। অন্যরা হলেন, অনিক ও রিফাত। তারা দুজনই প্রাণিবিদ্যা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী এবং ওই হলের আবাসিক শিক্ষার্থী।

মারধরের শিকার রাজেশ জানান, আমার বোন রাজশাহী মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। আমি তাকে দেখতে যাব। তাই দ্রুত রান্না করছিলাম। এসময় ওপর থেকে নিচে পানি ফেলতে গেলে দ্বিতীয় তলার একজনের গায়ে পড়ে। এসময় আমাকে প্রথমে ডেকে নিয়ে এসে উত্তেজিতভাবে কথা বলে। পরে পাভেল, অনিক ও রিফাত আমাকে এক প্যাকেট বেনসন সিগারেট কিনে দিতে বলে। দোকানে গিয়ে দেখি আমার কাছে পর্যাপ্ত টাকা নেই। তাই সিগারেট না কিনে ফিরে আসি। এসময় পাভেল, অনিক ও রিফাত ২৪১ নাম্বার কক্ষে নিয়ে গিয়ে মারধর করে। পাভেল খুব জোরে কানের নিচে চড়-থাপ্পড় ও লাথি মারে। আর ওই দুই জনের একজন রড় দিয়ে জোরে পায়ে আঘাত করে। পরে আমি কাঁদতে কাঁদতে কক্ষ থেকে বেরিয়ে আসি।

অভিযুক্ত অনিক বলেন, ওপর থেকে পানি ফেললে আমার গায়ে পানি পড়ে এবং পোশাক নষ্ট হয়ে যায়। এতে ওই শিক্ষার্থীকে ডেকে বিষয়টি জানালে দুই জনের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। মারধরের বিষয়ে অনিক বলেন, তাকে কোন মারধর করা হয় নি। শুধু উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছিল। সিগারেট চাওয়ার বিষয়ে বলেন, তার কাছে কোন সিগারেট চাওয়া হয় নি। পাভেল ভাই এসে আমাদের মিমাংসাা করে দিয়েছেন।

ছাত্রলীগ নেতা মোস্তাকিন পাভেল বলেন, আমি ক্যাম্পাসের বাইরে ছিলাম। পরে এসে জানতে পারি পানি ফেলা ঘটনা নিয়ে অনিক ও রিফাতের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। পরে এসে তাদের দুই পক্ষকেই চড়-থাপ্পড় দিয়ে মিমাংসা করে দিয়েছি।

সিগারেটের বিষয়ে পাভেল আরও বলেন, রাজেশের কাছে কোন সিগারেট দাবি করা হয় নি। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা বলে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। আমি শুধু তাদেরকে একসঙ্গে বসে মিমাংসা করে দিয়েছি।

এদিকে রিফাতের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। মারধরের শিকার শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি মিমাংসা করে দিয়েছি।#