প্রচ্ছদ অর্থনীতি গত অর্থবছরে রেলের লোকসান এক হাজার ৮৫৩ কোটি টাকা

গত অর্থবছরে রেলের লোকসান এক হাজার ৮৫৩ কোটি টাকা

গত অর্থবছরে বাংলাদেশ রেলওয়ের নিট লোকসান ছিল এক হাজার ৮৫২ কোটি ৯৪ লাখ ৬৬ হজার টাকা। গত বছর রেলের আয় ছিল এক হাজার ২৮৯ কোটি ৩৫ লাখ ৬৪ হাজার টাকা। আর ব্যয় ছিল ৩ হাজার ১৪২ কোটি ৩০ লাখ ৩০ হাজার টাকা।

রবিবার (১০ জুন) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে সরকার দলের সংসদ সদস্য মামুনুর রশীদের প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক এ তথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।

সরকারি দলের সদস্য মিজানুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী বলেন, রেলওয়েতে যাত্রী পরিবহন উত্তরোত্তর বাড়ছে। ২০১৩–২০১৪ অর্থবছরে যাত্রী ছিল ৬ কোটি ৪৯ লাখ, ২০১৪–২০১৫ অর্থবছরে ছিল ৬ কোটি ৭৩ লাখ, ২০১৫–২০১৬ অর্থবছরে ৭ কোটি ৮০ হাজার এবং ২০১৬–২০১৭ অর্থবছরে যাত্রী ছিল ৭ কোটি ৭৮ লাখ টাকা।

সরকারি দলের সদস্য সুকুমার রঞ্জন ঘোষের প্রশ্নের জবাবে মুজিবুল হক বলেন, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের আওতায় সংশ্লিষ্ট জেলাগুলোতে জমি অধিগ্রহণের কাজ চলমান রয়েছে। প্রকল্পের রেলপথ স্থাপনের ভৌত নির্মাণ কাজ আগামী আগস্ট থেকে শুরু হবে বলে আশা করা যায়। রেলপথে ঢাকা অংশের স্টেশনগুলো হলো, ঢাকা, গেন্ডারিয়া, কেরানীগঞ্জ, নিমতলা, শ্রীনগর, মাওয়া। প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত। মেয়াদ শেষে স্টেশনগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হবে।

সরকারি দলের মমতাজ বেগমের প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, মেট্রোরেল প্রকল্পের মেয়াদ ২০১২ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত। ২০১৯ সালের মধ্যে উত্তরা তৃতীয় পর্ব থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত এবং ২০২০ সালের মধ্যে মতিঝিল পর্যন্ত চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আশা করা যায়, টার্গেট মোতাবেক রাজধানীবাসী মেট্রোরেলে যাতায়াত করতে পারবে।

সেলিম উদ্দীনের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ২০০৭–২০০৮ অর্থবছর থেকে২০১৫–২০১৬ অর্থবছর পর্যন্ত বিআরটিসি অপারেটিং লাভে ছিল। কিন্তু নতুন পে স্কেল বাস্তবায়নের ফলে গত অর্থবছরে ৪৭৩ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে।