প্রচ্ছদ আর্ন্তজাতিক গণমাধ্যমকে ‘জনগণের শত্রু’ মনে করে এক-তৃতীয়াংশ মার্কিনি : ট্রাম্প

গণমাধ্যমকে ‘জনগণের শত্রু’ মনে করে এক-তৃতীয়াংশ মার্কিনি : ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি তিনজনের মধ্যে একজন গণমাধ্যমকে ‘জনগণের শত্রু’ হিসেবে দেখে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

দেশটির মধ্যবর্তী নির্বাচনের আগে বুধবার ফ্লোরিডায় রিপাবলিকান পার্টির এক প্রচারণা সমাবেশে ট্রাম্প গণমাধ্যমের সমালোচনা করতে গিয়ে এ কথা বলেছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, তাকে ‘জোর করে ঘৃণা ও গোঁড়ামির জন্য দায়ী করা হয়’, যদিও এ খবর ‘অপ্রকাশিতই’ থেকে যায়।

যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম ‘জনগণের কথা শুনতে চায় না’ বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

“আমাদেরকে জোর করে ঘৃণা, গোঁড়ামি, বর্ণবাদ, বৈষম্য ও পক্ষপাতিত্বের মতো কুৎসিত সব দায় দেওয়া হয়। কিন্তু গণমাধ্যম আপনাদের কথা শুনতে চায় না। আমার কথা নয়, আপনাদের কথা। এ কারণেই এ দেশের ৩৩ শতাংশ মানুষ মিথ্যা সংবাদকে জনগণের শত্রু হিসেবে বিবেচনা করে,” ফ্লোরিডার এস্তেরোর সমাবেশে সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বলেন ট্রাম্প।

রিপাবলিকান এ প্রেসিডেন্ট অবশ্য প্রতি তিন মার্কিনির একজনের গণমাধ্যম বিষয়ক এমন দৃষ্টিভঙ্গি সম্বন্ধে বিস্তারিত কোনো প্রমাণ হাজির করেননি।

ট্রাম্প এর আগেও মার্কিন গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে একের পর এক সমালোচনার তীর ছুঁড়েছেন। বলেছেন, কিছু কিছু গণমাধ্যম তার প্রশাসনের কাজকর্মকে ভুলভাবে হাজির করছে।

তার এমন অবস্থান যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে বিভাজনের রাজনীতির পাশাপাশি বিরোধী মত, গণমাধ্যম, অভিবাসী ও মুসলমানদের ওপর সহিংস আক্রমণ উসকে দিচ্ছে বলে অভিযোগ সমালোচকদের।

সাংবাদিকদের ‘জনগণের শত্রু’ না বলতে জুলাই মাসেই ট্রাম্পের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রকাশক। এ ধরনের কথা গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে ‘সহিংসতার পথ খুলে’ দিতে পারে বলেও সতর্ক করেছিলেন তিনি।

রাজনীতিবিদ ও গণমাধ্যম কার্যালয়ে ডাকবোমা পাঠানোর ঘটনায় গত সপ্তাহে আটক এক সন্দেহভাজনের গাড়ির জানালায় প্রেসিডেন্টের ছবিও সমালোচকদের অভিযোগের পালে হাওয়া দিচ্ছে।

চলতি সপ্তাহে পেনসালভ্যানিয়ায় ইহুদি প্রার্থনালয়ে বন্দুকধারীর গুলিতে ১১ জনের মৃত্যুর পেছনেও ট্রাম্পের এ ধরনের উসকানি কাজ করেছে বলেও অভিমত অনেকের।

পিটসবার্গের সিনাগগে ওই হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন ট্রাম্প; হতাহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনাও জানিয়েছেন তিনি।

ইহুদিদের ওই ট্রি অব লাইফ টেম্পলে বন্দুকধারীর হামলার ঘটনায় কোনো ধরনের নৈতিক দায় থাকার অভিযোগও অস্বীকার করেছে হোয়াইট হাউস। সন্দেহভাজন ওই হামলাকারী ট্রাম্প সমর্থক নন বলে দাবি করেছে তারা।