প্রচ্ছদ জাতীয় কৃষি খাস জমির বন্দোবস্ত ভূমিহীন কৃষকই পাবেন

কৃষি খাস জমির বন্দোবস্ত ভূমিহীন কৃষকই পাবেন

কৃষি খাস জমির বন্দোবস্ত ও ডিসিআর ভূমিহীন কৃষকরাই পাবেন। কৃষি খাস জমির বর্তমান অবস্থা দেখে প্রকৃত ভূমিহীনের নামে বন্দোবস্ত দেওয়া হবে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে কৃষি খাস জমি ব্যবস্থাপনা নির্বাহী কমিটির ৩৪তম সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ।

ভূমিমন্ত্রী কৃষি খাস জমির বাস্তব অবস্থা সরেজমিন দেখে এর বন্দোবস্ত ও ডিসিআর ভূমিহীন কৃষকের নামে দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।

ভূমি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এ সভায় উপস্থিত ছিলেন- ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন, পটুয়াখালী-৩ আসনের সংসদ সদস্য আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, ভূমি সচিব আব্দুল জলিল। এ সময় বিভাগীয় কমিশনারসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় বলা হয়, কৃষি খাস জমিতে চাষাবাদের মৌসুমে কৃষক ঘরে ফসল তোলার আগেই ভূমিদস্যুরা কৌশলে ডিসিআর খাজনা কেটে এসব জমিতে হানা দিয়ে কৃষকদের ফসল কেড়ে নেয় এবং আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এতে কৃষকরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, এমনকি মানসিকভাবেও তারা ভেঙে পড়েন।

সভায় সিদ্ধান্ত হয়, খাস জমির ডিসিআর কাটার আগেই ভূমি অফিস থেকে সরেজমিনে কৃষি খাস জমির বর্তমান অবস্থা জেনে তারপর বন্দোবস্ত বা ডিসিআর দেবে ভূমি অফিস। এক্ষেত্রে যদি ওই জমি কোনো ভূমিহীন কৃষক চাষাবাদ করে থাকেন তবে ডিসিআর ওই ভূমিহীন কৃষকই পাবেন।

সভায় কৃষি খাসজমি ব্যবস্থাপনা ও বন্দোবস্ত নীতিমালা ১৯৯৭ অনুসারে ৯৯ বছর মেয়াদি বন্দোবস্ত গ্রহীতা বা তার বৈধ ওয়ারিশগণ অধিগ্রহণকৃত জমির ক্ষতিপূরণ পাওয়ার বিষয়টি কৃষি খাস জমি ব্যবস্থাপনা নীতিমালা ১৯৯৭ এ সংযোজনের সিদ্ধান্ত হয়।

১৯৯৭ সালের আগে যেসব বন্দোবস্তকৃত কৃষি খাস জমি নির্ধারিত সময় অতিক্রান্ত হওয়ার পর হস্তান্তরযোগ্য ছিল সেসব কৃষি জমির বন্দোবস্তগ্রহীতা অথবা বৈধ হস্তান্তরের ভিত্তিতে সর্বশেষ মালিকগণ যথারীতি ক্ষতিপূরণ পাবেন মর্মে একটি পরিপত্র জারি করা হয়েছে বলে সভায় অবহিত করা হয়।

সভায় বরিশাল-পটুয়াখালী এবং শেরপুর-জামালপুরের সীমানা বিরোধসহ অন্যান্য জেলার সীমানা বিরোধ নিষ্পত্তির বিষয়ে পক্ষগণের সাথে দ্রুত আলোচনার মাধ্যমে আন্তঃজেলা সীমানা বিরোধ নিষ্পত্তির কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে বলে জানানো হয়।

পটুয়াখালী-৩ আসনের সংসদ সদস্য আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইন প্রস্তাব করেন, ভোলার সাথে অন্যান্য জেলার ভূমি বিরোধ আরএস রেকর্ড অনুযায়ী নিষ্পত্তি করতে হবে। প্রস্তাবিত এ বিষয়টি নিয়ে সভার সকলে একমত পোষণ করেন।

সভায় আরো জানানো হয়, যেখানে রোহিঙ্গাদের থাকার ব্যবস্থা করা হচ্ছে সেই ভাষানচরের জমির জরিপ কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে।