প্রচ্ছদ আর্ন্তজাতিক কানাডার সঙ্গে বিরোধে মধ্যস্থতা মানবে না সৌদি আরব

কানাডার সঙ্গে বিরোধে মধ্যস্থতা মানবে না সৌদি আরব

মানবাধিকারের পক্ষে কথা বলে রিয়াদের রোষানলে পড়া কানাডা সরকার অচলাবস্থা কাটাতে মধ্যস্থতার জন্য আঞ্চলিক মিত্রদেশগুলোর দিকে হাত বাড়ালেও অনড় রয়েছে সৌদি আরব। বুধবার সৌদি আরব জানিয়ে দিয়েছে, তাদের সঙ্গে কানাডার সঙ্গে ঘোর কূটনৈতিক বিরোধে মধ্যস্থতার কোনো সুযোগ নেই।

তাছাড়া, কানাডা যে ‘বড় ধরনের ভুল’ করেছে তা শুধরে নিতে কি করা প্রয়োজন তাও অটোয়া জানে বলে মন্তব্য করেছে রিয়াদ।

সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আদেল আল-জুবাঈর রিয়াদে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, “মধ্যস্থতা করার কিছু নেই। একটি ভুল হয়েছে, তা শুধরে নেওয়া উচিত।”

দু’দেশের মধ্যে সম্পর্কের আরো অবনতির ইঙ্গিত দিয়ে তিনি বলেন, “সৌদি আরব এখনো কানাডার বিরুদ্ধে বাড়তি আরো পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবছে।” তবে এ ব্যাপারে বিস্তারিত আর কিছু বলেননি তিনি।

রিয়াদকে কারাবন্দি অধিকারকর্মীদের মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিল কানাডা। আর তাতেই ক্ষুব্ধ হয়ে সৌদি আরব কানাডার সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধ এবং কানাডার রাষ্ট্রদূতকে বহিস্কার করাসহ সবশেষে কানাডায় সব ধরনের চিকিৎসা সেবাও বন্ধ করেছে।

এ অচলাবস্থা কাটাতেই মধ্যস্থতার জন্য আঞ্চলিক মিত্রদেশগুলোর দারস্থ হওয়ার পরিকল্পনা নেয় কানাডা। এর মধ্যে প্রধানত সৌদি আরবের ভাল বন্ধুদেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতের সাহায্য কামনা করছে দেশটি।

আরেকটি সূত্র জানায়, কানাডা এ সংকট কাটাতে ব্রিটেনের সহযোগিতাও চাইছে। ব্রিটিশ সরকার মঙ্গলবার দুই দেশকেই সংযত থাকার পরামর্শ দিয়েছে।

তবে ঐতিহ্যগত দিক থেকে কানাডার অন্যতম বন্ধুদেশ যুক্তরাষ্ট্র রিয়াদের সঙ্গে অটোয়ার মধ্যকার বিরোধে নিজেদেরকে দূরে সরিয়ে রেখেছে।

জুনে জি-৭ সম্মেলনে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সমালোচনা করা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সৌদি আরবের সঙ্গেই শক্ত বন্ধন গড়ে তুলেছেন।

মার্কিন পররাষ্ট্র বিভাগের মুখপাত্র হিদার নুয়ার্ট এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেছেন, “উভয় পক্ষেরই কূটনৈতিকভাবে একসঙ্গে সমস্যার সমাধান করা উচিত। আমরা তাদের জন্য এটি করে দিতে পারি না, তাদেরকেই কাজটি করতে হবে।”

সৌদি আরব অধিকার কর্মীদের গ্রেপ্তারের পদক্ষেপকে ‘আইনানুগ’ অ্যাখ্যা দিয়ে কানাডার বক্তব্যকে অভ্যন্তরীন বিষয়ে নির্লজ্জ হস্তক্ষেপ’ হিসেবে অভিহিত করেছে।

ওই কর্মীদেরকে আটক করার কারণ কি? সাংবাদিকদের এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জুবাঈর বলেছেন, মামলা কোর্টে উঠলে তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো জনসম্মুখে প্রকাশ করা হবে।

তারা বিদেশি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত ছিল বলে আগের অভিযোগের পুনরাবৃত্তি করেন জুবাঈর। তিনি বলেন, “এটি মানবাধিকারের বিষয় নয়। এটি জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়।”