প্রচ্ছদ আজকের সেরা সংবাদ কলঙ্কময় ২১ আগস্ট আজ

কলঙ্কময় ২১ আগস্ট আজ

আজ ২১ আগস্ট। বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলার ১৪তম বার্ষিকী। ২০০৪ সালের ওই গ্রেনেড হামলায় নিহত হন ২৪ জন। আহত হন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাও।

গ্রেনেড হামলার এ ঘটনায় ওই বছরের ২২ আগস্ট মতিঝিল থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে পৃথক দুটি মামলা দায়ের হয়। তদন্ত শেষে ২০০৮ সালের ১১ জুন অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ। হরকাতুল জিহাদের (হুজি) শীর্ষ নেতা মুফতি হান্নানসহ ২২ জনের নাম উল্লেখ করা হয় অভিযোগপত্রে। ২০০৯ সালের জুন পর্যন্ত ৬১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন ট্রাইব্যুনাল। কিন্তু ওই বছরের ৩ আগস্ট রাষ্ট্রপক্ষ মামলাটি অধিকতর তদন্তের আবেদন করলে ট্রাইব্যুনাল তা মঞ্জুর করেন।

নতুন করে ওই মামলার তদন্তভার পান সিআইডির সিনিয়র পুলিশ সুপার আবদুল কাহার আকন্দ। তিনি ২০১১ সালের ৩ জুলাই আগের অভিযোগপত্রের সঙ্গে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ৩০ জনের নাম যুক্ত করে মোট ৫২ জনের নামে অভিযোগপত্র ট্রাইব্যুনালে জমা দেন। পরে ট্রাইব্যুনালের নির্দেশে সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুত্ফুজ্জামান বাবর, সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টু, মুফতি আব্দুল হান্নানসহ ২৫ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়। মামলার সাক্ষী করা হয় ৪৯১ জনকে। তাদের মধ্যে চলতি বছরের শুরুর দিকে ২০৫ নম্বর সাক্ষী হিসেবে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু সাক্ষ্য দিয়েছেন।

এদিকে এ মামলার অন্যতম আসামি বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, বিএনপি নেতা কাজী মোয়াজ্জেম হোসেন কায়কোবাদসহ ১৯ জন আসামি এখনো পলাতক। এর মধ্যে লন্ডনে তারেক রহমান, দক্ষিণ আফ্রিকায় মাওলানা তাজউদ্দিন এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে মোয়াজ্জেম হোসেন কায়কোবাদের অবস্থান করার তথ্য রয়েছে পুলিশের হাতে। সম্প্রতি তাদের দেশে ফিরিয়ে আনতে ইন্টারপোলে চিঠি পাঠিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর।

পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া) সোহেল রানা বলেন, পলাতক আসামিদের দেশে ফিরিয়ে আনার আইনি প্রক্রিয়া চলছে। যাদের সন্ধান পাওয়া গেছে, অতিসত্বর তাদের ফিরিয়ে আনতে ইন্টারপোলে চিঠি ইস্যু করা হয়েছে। যাদের খোঁজ এখনো মেলেনি, তাদের বিষয়েও তদন্ত করা হচ্ছে।

গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণে আজ সকাল ১০টায় ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নির্মিত বেদিতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উদ্যোগে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন করা হবে। এছাড়াও নারী নেত্রী বেগম আইভী রহমানের ১৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে প্রতিবারের মতো এবারও বনানী কবরস্থানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ, উপদেষ্টা পরিষদ এবং সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতারা শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করবেন।