প্রচ্ছদ জাতীয় কমলাপুর রেলস্টেশনে এক ঘণ্টা টিকিট বিক্রি বন্ধ

কমলাপুর রেলস্টেশনে এক ঘণ্টা টিকিট বিক্রি বন্ধ

কমলাপুর রেলস্টেশনে সার্ভারে ত্রুটির কারণে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত এক ঘণ্টা টিকিট বিক্রি বন্ধ ছিল। এতে হাজার হাজার টিকিটপ্রত্যাশী দুর্ভোগে পড়েন। আজ শনিবার ঈদের টিকিট বিক্রির চতুর্থ দিন চলছে। আজ ২০ আগস্টের টিকিট বিক্রি হচ্ছে।

ঢাকা রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াসিন ফারুক মজুমদার বলেন, সার্ভারে ত্রুটির কারণে এক ঘণ্টা টিকিট বিক্রি বন্ধ ছিল। সকাল সাড়ে ১০টা থেকে আবার বিক্রি শুরু হয়। এখনো কাউন্টারগুলোর সামনের জায়গা মানুষে ঠাসা।

টিকিট কিনতে আসা লালমনিরহাটের রিয়াজুল ইসলাম জানান, তিনি গতকাল শুক্রবার রাত নয়টায় লালমণি এক্সপ্রেসের টিকিট নিতে এসেছিলেন। কিন্তু তখন তিনি সিরিয়াল দিতে পারেননি। আজ ভোর পাঁচটায় আবার আসেন। তখন ১৪ নম্বর কাউন্টারে ৩২৫ নম্বর সিরিয়াল পান। এখনো টিকিটের অপেক্ষায় আছেন।

রিয়াজুল বলেন, ‘লালমণি এক্সপ্রেসের টিকিট শেষ বলে শুনেছি। এখন ঈদ স্পেশাল ট্রেনের টিকিটের অপেক্ষায় আছি। বাসের টিকিটও পাইনি। টিকিট না পেলে পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে পারব না।’

নারীদের কাউন্টারে প্রায় ১৪ ঘণ্টা অপেক্ষার পর বেলা সোয়া একটার দিকে টিকিট পেয়েছেন মৌসুমি আক্তার। তিনি বলেন, ‘যাব দিনাজপুরে। অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে দিনাজপুর এক্সপ্রেসের শোভন আসনের তিনটি টিকিট পেয়েছি।’

ঈদুল আজহা উপলক্ষে ৮ আগস্ট থেকে ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। ১২ আগস্ট দেওয়া হবে ২১ আগস্টের আগাম টিকিট।

একজন যাত্রী সর্বোচ্চ চারটি টিকিট নিতে পারবেন। বিক্রি হওয়া টিকিট ফেরত নেওয়া হবে না।

রেলে সচরাচর যাত্রী ধারণ ক্ষমতা প্রতিদিন ২ লাখ ৬০ হাজার। ঈদ উপলক্ষে তিন লাখ যাত্রী চলাচলের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ঈদের সময় নয় জোড়া বিশেষ ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে। এসব বিশেষ ট্রেনের মধ্যে ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ-ঢাকা রুটে চলবে দেওয়ানগঞ্জ স্পেশাল, চাঁদপুর স্পেশাল-১ ও চাঁদপুর স্পেশাল-২ চলবে চট্টগ্রাম-চাঁদপুর-চট্টগ্রাম রুটে, রাজশাহী স্পেশাল চলবে রাজশাহী-ঢাকা-রাজশাহী রুটে, দিনাজপুর স্পেশাল চলবে দিনাজপুর-ঢাকা-দিনাজপুর, লালমণি স্পেশাল চলবে ঢাকা-লালমনিরহাট-ঢাকা রুটে, খুলনা এক্সপ্রেস চলবে খুলনা-ঢাকা-খুলনা রুটে। এ ছাড়া শোলাকিয়া স্পেশাল-১ চলবে ভৈরববাজার-কিশোরগঞ্জ-ভৈরববাজার রুটে এবং শোলাকিয়া স্পেশাল-২ চলবে ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ রুটে।

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে মোট ১ হাজার ৪০২টি কোচ চলাচল করবে এবং ২২৯টি লোকোমোটিভ ব্যবহার করা হবে।