প্রচ্ছদ আজকের সেরা সংবাদ ঐক্যফ্রন্টের নেতারা বললেন, ‘আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংলাপ ফলপ্রসূ হয়নি’

ঐক্যফ্রন্টের নেতারা বললেন, ‘আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংলাপ ফলপ্রসূ হয়নি’

আওয়ামী লীগের সঙ্গে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সংলাপ ফলপ্রসূ হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন জোটের নেতারা। নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক ও ঐক্যফ্রন্ট নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না জানান, ৭ দফা দাবির কোনোটিই মানা হয়নি। আরেক নেতা বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, সরকারের সঙ্গে আলোচনার ফল শূন্য।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, সংলাপ সফল না বিফল তা মন্তব্য করার সময় এখনও আসেনি। তবে সফলতার জন্য দু’পক্ষেরই সদিচ্ছা থাকা দরকার।

বৃহস্পতিবার(১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে ঐক্যফ্রন্টের বহুল প্রতীক্ষিত সংলাপে চলে প্রায় প্রায় সাড়ে ৩ ঘণ্টা। এ সময় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে নির্বাচনকালীন সংসদ ভেঙে দেয়া, খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ ৭ দফা দাবি তুলে ধরলেও এর কোনোটিই আমলে নেয়নি বলে জানান ঐক্য ফ্রন্টের নেতারা।

শুক্রবার(২ নভেম্বর) সকালে নিজ বাসভবনে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক ও জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টের শীর্ষ নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না জানান, ৭ দফার কোনোটিই তো মানা হয়নি। বরং নেতিবাচক মন্তব্য করেছে সরকার দলীয় লোকজন। দাবি আদায়ে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

নাগরিক সমাজের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘সবাই সবার মতো করে কথা বলেছেন। তবে যে যার মতো বলেছেন। যে যার জায়গায় ছিলেন। সবাই সবার জায়গায় রয়েছেন। কোনো অগ্রগতি হয়নি। তারা যে জবাব দিয়েছেন তা সবই নেতিবাচক। আমরা যে সাত দফা দিয়েছি, তার কোনোটাই বাস্তবিকভাবে মানা হয়নি। তারা যে মানবেন না, আমি মনে তাদের কথাবার্তায় সেটাই বোঝা যাচ্ছে।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘সংলাপের ফলাফল শূন্যের কোঠায়। কোনো দাবি তারা মানবে না।’

সংলাপে না যাওয়ার প্রসঙ্গে তিনি জানান, ‘প্রথমত আমি সংলাপে যাওয়ার তালিকায় নির্ধারিত ছিলাম না। যেহেতু অবগত ছিলাম না যে, আমাকে যেতে হবে। সংলাপের যে প্রস্তুতি থাকে তা আমার ছিল না। যাওয়ার পথে হঠাৎ করে বলল যে, আপনার নাম আছে। কিন্তু আমি তাড়াহুড়োর মধ্য দিয়ে সংলাপে অংশ নেয়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেললাম।’

এ বিষয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহিউদ্দিন আহমেদ বলছেন, ‘সংলাপ সফল হয়েছে কিনা তা মন্তব্য করার সময় এখনও আসেনি।’

মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের তো নির্দিষ্ট সাত দফা ছিল। এর পরিপ্রক্ষিতে সরকারের সাড়া কি? এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য পায়নি। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য না পাওয়া পর্যন্ত বলতে পারা কঠিন যে, সংলাপ ফলপ্রসূ হয়েছে নাকি শূন্য হয়েছে।’

সাবেক নির্বাচন কমিশন ছহুল হুসেইন বলেন, ‘এই সংলাপের মাধ্যমে সরকারের স্বদিচ্ছা দেখা গেছে। কারণ প্রথম বৈঠকেই সরকার বলেছেন, ঠিক আছে সভা সমাবেশে কোনো বাধা নেই। এটা তো যেকোনো রাজনৈতিক পার্টির জন্য বড় অর্জন।’

এ ধরণের সংলাপ রাজনীতির জন্য ভালো লক্ষণ, তবে সংলাপের একটা ফলাফল অবশ্যই আসতে হবে বলেও জানান তারা।

সময় সংবাদ