প্রচ্ছদ খেলাধুলা এমনকি পাগলও হতাশ হবে, সুপার ফোরের সূচি নিয়ে মাশরাফি

এমনকি পাগলও হতাশ হবে, সুপার ফোরের সূচি নিয়ে মাশরাফি

এশিয়া কাপের সুপার ফোরের  সূচিতে ভীষণ হতাশ বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। সুপার ফোরের সূচিতে ভারতকে সুবিধা করে দেওয়া হয়েছে বলে বিতর্ক উঠেছে।

মাশরাফি বিন মুর্তজাও জানতেন না ব্যাপারটি। শেষ মুহূর্তে জানলেন। আর তা জেনে ভীষণ হতাশ বাংলাদেশ অধিনায়ক। মাশরাফি মনে করেছিলেন, শেষ ম্যাচ জিতলে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হতো দল। কিন্তু এখন জানলেন, গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কোনো ব্যাপার-স্যাপারই নেই। বাংলাদেশ শেষ ম্যাচ হারুক আর জিতুক, তারা বি গ্রুপের বি-২ দল হিসেবে সুপার ফোরে যাবে। সে অনুযায়ী ঠিক হবে বাংলাদেশের সূচি।

টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই সূচি নিয়ে দলগুলোর আপত্তি ছিল। প্রচণ্ড গরমে টানা খেলা। এর মধ্যে দুবাই টু আবুধাবি টু দুবাই ভ্রমণের ধকল তো আছেই। খুব কম সময়ের মধ্যে টুর্নামেন্টটি আয়োজন করতে হচ্ছে বলে টানা দুদিন খেলা পড়েছে তিন দলের। ভারতও যেমন হংকং ম্যাচের পর আজ পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলছে। আগামীকাল বাংলাদেশ আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলে পরের দিনই সুপার ফোরে খেলবে ভারতের বিপক্ষে। তবে এই প্রশ্ন উঠছে, ভারত কেন সবগুলো ম্যাচ একই ভেন্যুতে খেলবে?

ভারত নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি মাশরাফি। তবে শেষ ম্যাচ জিতলেও বাংলাদেশ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হবে না জানার পর মাশরাফি একটু হতাশ। আজ সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক বলেছেন, ‘আমার মনে হয় না কেউ (দল) ভালোভাবে নেবে ব্যাপারটি। এমনকি একজন পাগলও হতাশ হবে। আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে গ্রুপ পর্বের আগের দিন কখনো শুনেছেন যে আপনি গ্রুপে দ্বিতীয়? হয়তো কেউ প্রকাশ করবে না , তবে এই সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়াটা স্বাভাবিক হওয়ার কথা নয়।’

মাশরাফি তার হতাশার কারণও ব্যাখ্যা করেছে, ‘প্রথম থেকেই আমাদের পরিকল্পনায় ছিল যে, শ্রীলঙ্কাকে প্রথম ম্যাচে হারাতে পারলে আমরা হয়তো গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথে এগিয়ে যাব। এরপর গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হলে গ্রুপ ‘এ’ রানার্সআপ আপ দলের সঙ্গে প্রথম ম্যাচ খেলব সুপার ফোরে। কিন্তু আজকে সকাল থেকে জানতে পারছি, আফগানিস্তানের বিপক্ষে জিতি আর হারি, আমরা ‘বি ২’ হয়ে গেছি। এটা অবশ্যই হতাশার। কিন্তু গ্রুপ ম্যাচ বলেন বা যা-ই বলেন, একটা নিয়ম থাকে টুর্নামেন্টের। সেই নিয়মের বাইরে চলে যাচ্ছি আমরা। এটাই হতাশার।’

টানা দুদিন খেলা, দলের চোটজর্জর অবস্থাও ভাবাচ্ছে অধিনায়ককে, ‘২০ তারিখে (আগামীকাল) খেলা, সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচটাও ২১ তারিখে। যেমন ধরেন কাল যদি পরে ফিল্ডিং করি এবং এরপরের ম্যাচে প্রথমে ফিল্ডিং করি। তাহলে আমাদের ১০ ঘণ্টাও ধকল সামলে ওঠার মতো সময় পাব না। আর ঘর্মাক্ত অবস্থা থেকে পুরো সতেজ হয়ে উঠতে খেলোয়াড়দের ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টাও লাগে। এটা বলব না যে অজুহাত। তারপরও ভাবছিলাম গ্রুপ পর্বে চ্যাম্পিয়ন হলে দেখা যাক কোন প্রতিপক্ষকে পাই। এই হিসাব-নিকাশের আর কোন সুযোগ নেই। সবকিছু থেকেই খারাপ জিনিসটাই আমাদের দিকে এসেছে।’

বাংলাদেশ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হলেও পরপর দুদিন খেলতে হতো। সে ক্ষেত্রে একটা সুবিধা পেত দল। পরপর দুদিন একই মাঠে খেলার। তবে এর অসুবিধাও আছে। সে ক্ষেত্রে যাত্রার বাড়তি ধকল নিতে হতো বাংলাদেশকে। বাংলাদেশ দল দুবাইয়ের হোটেলে থাকছে, আবুধাবিতে নয়। কালকের ম্যাচটি খেলার জন্য দুবাই থেকে আবুধাবিতে এসে ম্যাচ শেষে আবার দুবাইয়ে ফিরে যাবে দল। পরের ম্যাচটি দুবাইয়ে হওয়ায় আবার আবুধাবিতে আসার ঝামেলা পোহাতে হবে না। না হলে পরপর দুদিন দুবাই-আবুধাবি-দুবাই করতে হতো দলকে।