প্রচ্ছদ খেলাধুলা উত্তাপ ছড়িয়ে মাদ্রিদ ডার্বিতে রিয়ালের জয়

উত্তাপ ছড়িয়ে মাদ্রিদ ডার্বিতে রিয়ালের জয়

এল ক্লাসিকো মানেই একটি উত্তাপ। তার চেয়ে কোনও অংশেই কম নয় মাদ্রিদ ডার্বি। গতকাল সকলের দৃষ্টি ছিল এ ম্যাচের দিকে। শেষ পর্যন্ত উত্তাপ ছড়িয়ে এ ম্যাচে একপেশে জয় পেয়েছে আসল মাদ্রিদ রিয়াল।

গত ২৯ সেপ্টেম্বর শেষ ডার্বি ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয় রিয়ালের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুয়ে। সে ম্যাচটি গোলশূন্য ড্র হয়েছিল। অথচ কাল নিজেদের মাঠ ওয়ান্ডা মেট্রোপলিটানোতে লস ব্ল্যাঙ্কোস’রা বিধ্বস্ত করে অ্যাথলেটিকোকে। তবে রিয়ালের জয়ী ম্যাচে বিতর্ক উঠতেই পারে রেফারিং নিয়ে। কারণ এ ম্যাচে প্রায় ৫-৬টি সিদ্ধান্ত গিয়েছে অ্যাথলেটিকোর বিপক্ষে।

ম্যাচের ১৬তম মিনিটে বাইসাইকেলে কিকে গোল করে রিয়ালকে এগিয়ে দেন কাসেমিরো। টনি ক্রুসের কর্ণার থেকে ডি বক্সে অ্যাথলেটিকোর চার খেলোয়াড়ের মাঝেও বলে মাথা ছুঁয়েছিলেন সার্জিও রামোস। ফাঁকায় বল পেয়ে যান কাসেমিরো। সেখান থেকে বাইসাইকেল কিকে গোলরক্ষককে পরাস্ত করে বল জালে পাঠান ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার কাসেমিরো।

কিন্তু এ লিড বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি সফরকারীরা।  ঠিক ১০ মিনিট পর অর্থাৎ ২৬তম মিনিটে খেলায় সমতা ফেরান আঁতোয়ান গ্রিজম্যান। মাঝমাঠে ভিনিসিয়াসের পা থেকে বল কেড়ে নেন অ্যাঙ্গেল কোরেয়া। আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডের চমৎকার থ্রু পাসে বল পেয়ে যান গ্রিজমান। গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়াকে একা পেয়ে বল জালে পাঠাতে ভুল করেননি ফরাসি ফরোয়ার্ড।

তবে এ গোলটি নিয়ে বিতর্ক আছে। গ্রিজম্যানকে পাস দেয়ার আগে অ্যাঙ্গেল কোরেয়া ফাউল করেছিলেন রিয়ালের ব্রাজিলিয়ান বিস্ময়বালক ভিনিসিয়াসকে। কিন্তু রেফারি ফাউলের বাঁশি না বাজিয়ে বাজিয়েছেন গোলের বাঁশি।

রেফারিং বিতর্কের এই শুরু। এরপর ম্যাচের বাকি সময়ে আরও অন্তত ৫টি বিতকির্ত সিদ্ধান্ত দিয়েছেন কাতালুনিয়ান রেফারি এস্ত্রাদা ফার্নান্দেজ। যার বেশির ভাগই গেছে রিয়ালের পক্ষে, অ্যাথলেটিকোর বিপক্ষে। ঠিক এ রকমই এক বিতর্কিত সিদ্ধান্ত থেকে রিয়ালকে আবার এগিয়ে দেন অধিনায়ক সার্জিও রামোস।

বিরতির আগে লিড নেয় গ্যালাকটিকোরা। ৪২তম মিনিটে অ্যাথলেটিকোর বক্সে বল নিয়ে ঢোকার সময় ভিনিসিয়াস জুনিয়রকে ফেলে দেন অ্যাথলেটিকোর উরুগুইয়ান ডিফেন্ডার জিমেনেজ। রেফারি ভিএআরের সহায়তা নিয়ে পেনাল্টির বাঁশি বাজান। কিন্তু স্প্যানিশ ফুটবলবোদ্ধারা মনে করছেন, জিমেনেজ ভিনিসিয়াসকে ফাউল করেছেন বক্সের বাইরে। স্পেনের সাবেক রেফারি অ্যান্ডুয়ার অলিভিয়ের রেডিও মার্কাকে সঙ্গে সঙ্গেই বলেন, এটা কিছুতেই পেনাল্টি ছিল না।

পেনাল্টি পেয়ে সফল স্পট কিক থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন অধিনায়ক সার্জিও রামোস। বিরতির পর ৫৭ মিনিটে বেলকে বদলি হিসেবে মাঠে নামান রিয়াল কোচ সোলারি। ৭৪ মিনিটে রিয়ালের জার্সিতে নিজের শততম গোলটি করে দলের জয় অনেকটাই নিশ্চিত করে ফেলেন বেল। লুকা মডরিচের পাস ডি বক্সের বাঁ দিকে পেয়ে কোনাকুনি শটে গোল করেন ওয়েলস ফরোয়ার্ড। রিয়ালের হয়ে গোলের সেঞ্চুরি করতে বেলের লাগল ২১৭ ম্যাচ।

এরপর ৮০তম মিনিটে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে থমাস পার্তে মাঠ ছাড়ায় ১০জনের দলে পরিণত হয় অ্যাথলেটিকো। একজন কম নিয়ে বাকি সময়ে আর পেরে ওঠেনি দিয়েগো সিমিওনের দল। এই মৌসুমে লিগে ঘরের মাঠে এটাই অ্যাথলেটিকোর প্রথম হার।

দারুণ এই জয়ে ২৩ ম্যাচে ৪৫ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার দুই নম্বরে এখন রিয়াল। এক ম্যাচ কম খেলেই শীর্ষে থাকা বার্সেলোনার পয়েন্ট ৫০। যারা আজ খেলবে অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের বিপক্ষে। ২৩ ম্যাচে তিনে থাকা অ্যাথলেটিকোর পয়েন্ট ৪৪।