প্রচ্ছদ খেলাধুলা আস্থা রাখায় গেইলকে মাহমুদউল্লাহর ধন্যবাদ

আস্থা রাখায় গেইলকে মাহমুদউল্লাহর ধন্যবাদ

জাতীয় দলের হয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর ও ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (সিপিএল) মিলিয়ে ৭৬ দিন পর ৯ সেপ্টেম্বর দেশে ফিরেছেন টাইগার তারকা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। বাংলাদেশের সামনে এখন এশিয়া কাপ মিশন। তাই মাত্র একদিনের বিরতি নিয়ে দলের সঙ্গে যুক্ত হতে আরব আমিরাতের উদ্দেশে পাড়ি জমান তিনি।

সিপিএলে সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস প্যাট্রিয়টসের জার্সিতে আহামরি পারফরম্যান্স ছিল না মাহমুদউল্লাহর। দেশ ছাড়ার আগে সিপিএলে নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে মিস্টার কুল বলেন, বলব না, শতভাগ দিতে পেরেছি। তবে চেষ্টা করেছি। একে মোটামুটি পারফরম বলা যায়। হয়তো সব কিছু মনের মতো হলে আরও ভালো করতে পারতাম। বেশিরভাগ ইনিংসে ভালো শুরু পেয়েছি। তবে সেটি লম্বা করতে পারিনি। ১৪-২২ এর মধ্যে আটকে গেছি।

তবে সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিসের প্লে-অফ নিশ্চিত করায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে মাহমুদউল্লাহ। শেষ চার নিশ্চিত করতে জ্যামাইকার বিপক্ষে জয়টা খুবই জরুরি ছিল গেইল বাহিনীর! সেই ম্যাচের শেষ দিকে জয়ের জন্য ২৩ বলে ৪৭ রান দরকার ছিল। ক্রিস গেইল ও এভিন লুইসের বিদায়ের পর ব্যাট করতে নামেন মাহমুদউল্লাহ। নেমেই একের পর এক বাউন্ডারিতে চালান তাণ্ডব। শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেটে জিতে যায় সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস। ১১ বলে ২৮ রান করে অপরাজিত থাকেন এই মিডল অর্ডারের স্তম্ভ।

মূলত তার ওপর আস্থা রাখেন ক্রিস গেইল। মাহমুদউল্লাহ, সব কিছুর জন্য তাকে (গেইল) ধন্যবাদ দেব। তিনি আমাকে যেতে বলেছিলেন। তার চাওয়াতেই গিয়েছিলাম। আমিও তার আস্থার প্রতিদান দিতে চাচ্ছিলাম। ছোট ইনিংস হলেও দলের জয়ে কাজে লেগেছিল। ভালো লাগছে দল জিতেছে, শীর্ষ চারে উঠেছে।

সিপিএলে সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস প্যাট্রিয়টসের জার্সিতে আটটি ম্যাচ খেলেন মাহমুদউল্লাহ। ছয় ইনিংসে ব্যাট করে ৮৭ রান করেন এই টাইগার তারকা, গড় ২১.৬। বল হাতে নেন ৪ উইকেট।