প্রচ্ছদ আজকের সেরা সংবাদ আমি পল্টিবাজ সমর্থক: ফারুকী

আমি পল্টিবাজ সমর্থক: ফারুকী

আজ থেকে শুরু হচ্ছে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ক্রীড়া উৎসব ফুটবল বিশ্বকাপ-যেটিকে গ্রেটেস্ট শো অন দা আর্থ বলা হয়। সব প্রস্তুতি শেষ হয়ে এখন ক্ষণগণনা চলছে বিশ্বকাপের।

অংশগ্রহণকারী দলগুলোর পাশাপাশি এসব দেশের হাজার হাজার সমর্থকও ইতোমধ্যেই পৌঁছে গেছেন মস্কোতে। বাংলাদেশ থেকেও অনেকে গিয়েছেন বিশ্বকাপের খেলা দেখতে। তবে যারা দেশে রয়েছেন। তাদের উম্মাদনাও কম নয়। তাঁদের মধ্যে আছেন তারকারাও…

আমি পল্টিবাজ সমর্থক: মোস্তফা সরয়ার ফারুকী

সমর্থক হিসেবে আমি আসলে নিদারুণ পল্টিবাজ। আমি ফুটবল রেগুলার ফলো করি, এমন কোনো লিগ নাই, যে যে লিগ লাইভ কিংবা রেকর্ড দেখা সম্ভব, তার সবই দেখি, কিন্তু আমি খেয়াল করে দেখেছি যে সমর্থনের বেলায়, আমি কখনো কখনো দোদুল্যমান।

আসল ঘটনাটা বলি, ছোটবেলায় আমি লিভারপুল সমর্থন করতাম, ২০০২-০৩-এর পর আমি চেলসি করেছি। একম্যাচ চেলসির খেলা ভালো না লাগলে অন্যকোথাও যাই।

আর আমার এই সমর্থনের আমার সমর্থন নানাবিধ কারণে নির্ধারিত হয়। কখনো সিমপ্যাথি ইস্যু, কখনো আন্ডারডগ ইস্যু, কখনো কোচের উপর ভালোবাসা ইস্যু, কখনো কোচের উপর রাগ ইস্যু। তবে দুইটা ক্ষেত্রে আমার আনুগত্য প্রশ্নাতীত। দুইটা দলের প্রতি। একটা হলো বাংলাদেশ, আরেকটা হলো ব্রাজিল। এই দুই দলের ক্ষেত্রে আমার আনুগত্যের কোনো ব্যত্যয় আজ্যবধি হয়নি। এখন কেন আমি ব্রাজিলকে সমর্থন করি?

আমি জানি না আমি ব্রাজিলকে কেন সমর্থন করি। একটা হতে পারে, ছোটবেলায় আমরা আমাদের পাঠ্য বইতে পেলের সম্পর্কে জেনেছি। কারণ তখন তো ইউটিউব ছিল না। এটা একটা কারণ হতে পারে। তবে আমার চোখে যেটা মনে আছে, সেটা হচ্ছে, ৮২-এর আমি দুটি খেলা দেখেছি, তখন আমি খুব ছোট। একদম খুব ছোট। কিছু বুঝি না। তখন একটা খেলা দেখেছিলাম আমি সম্ভবত ব্রাজিলের। ওই সময়ে সবচেয়ে ভালো লেগেছে যেটা যে, এত দ্রুত পাস বিনিময় করত, যেটা দেখে মুগ্ধ হই। মনে হয় এটা তো আমার পাড়ার ভাইয়েরা পারে না। তবে ৮৬ এ মনে হয় ব্রাজিলের জোরদার সমর্থক হই। কিন্তু এমন এক মৌসুমে জোরদার সমর্থক হই তখন সেই মৌসুমে সকল আলো চুরি করে নিয়েছেন ম্যারাডোনা। সেই মৌসুমে আমি আসলে ব্রাজিলের সমর্থক হিসেবে নাম লেখাই।

অবশ্যই আর্জেন্টিনা: কনা

পরিবার সূত্রে আমি আর্জেন্টিনার ঘোর সমর্থক। অবশ্য আমার ভাই ব্রাজিলের সমর্থক। এ নিয়ে ওর সঙ্গে পুরো পরিবারের বেধে যায়। আবার আমার গানের বন্ধুরাও একসঙ্গে খেলা দেখি। বাপ্পাদাও প্রচুর খেলার পাগল। আমাদের গানের একদল আছি আমরা একসঙ্গে এবারও খেলা দেখবো।

দ্বিতীয় প্রিয় দল আর্জেন্টিনা: সজল

আমি মূলত ব্রাজিলের সমর্থক। তবে আর্জেন্টিনার খেলাও ভাল লাগে। যেমন গত বছর ফাইনালে আমি আর্জেন্টিনাকে সমর্থন করেছি। শুটিং শেষ করে রাতে বাসায় ফিরব। তারপর আমার কয়েকজন কাছের বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয়ের সঙ্গে বসে খেলা দেখব বলে পরিকল্পনা করেছি। এবারের বিশ্বকাপ নিয়ে একটা আফসোস রয়ে গেল। কারণ ঈদের অনুষ্ঠান চাপে পড়ে গেল খেলার জন্য।

খেলার জন্য সবাই টাকা জমাই: অপি করিম

ছোটবেলায় খুব ভালো ‘ফুটবল’ খেলতাম। শৈশবের এই ফুটবল খেলার প্রতিভা পরিবার-পরিজনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। এখনও ফুটবল খেলার স্মৃতি মনে করে বেশ রোমাঞ্চিত হই। আমার কাছে ফুটবল আকৃতির একটি ব্যংকও আছে। খেলা শুরু হলেই বাড়ির ছোট ছোট ছেলেমেয়ে থেকে শুরু করে মুরব্বিরা পর্যন্ত সবাই সবার সাধ্যমতো টাকা সেই ব্যাংকে রাখে। খেলার দিন ব্যাংক থেকে টাকাগুলো বের করে রাতের বেলার জন্য খাবারের আয়োজন করা হয়। আর কোন দল সাপোর্ট করি? ফুটবল মানেই তো আমার কাছে মনে হয় ব্রাজিল দল। প্রিয় দল এবারও প্রত্যাশা পূরণ করবে, এটা আমার আশা। আর দিনের বেলা যদিও ইউনিভার্সিটিতে যেতে হবে। খেলা তো আর থাকবে না; তাই চিন্তা করি যে একটা মাস না হয় কম ঘুমালাম, কিন্তু খেলা দেখা চাই-ই চাই।’

ঝগড়া নিয়ে টেনশনে আছি: সাবিলা নূর

গতবার বিশ্বকাপ নিয়েছে বলে কিন্তু আমি জার্মানি না। ছোটবেলা থেকেই জার্মানির সাপোর্টার। এনিয়ে বন্ধু বা বাসার সবার সঙ্গে যে এই একমাসে কত ঝগড়া হবে। তা নিয়ে টেনশনে আছি।

ব্রাজিল আমার শত্রু: তিশা

জামাই ব্রাজিল করে। আর আমি আর্জেন্টিনা। সংসারের অবস্থা তো এ দিয়েই বোঝা যায়। সরয়ারের প্যারায় আমি দিনকে দিন ঘোরতর ব্রাজিলের বিপক্ষে চলে এসেছি। ও তো শুধু খেলা দেখে না। বিপক্ষ দলের প্রতিটা খেলোয়াড়কে নিয়ে সমলোচনা করে। আমি যতটা বুঝি, তাতে আমার আর্জেন্টিনার খেলা ভালো লাগে।