ইসরাইলে স্নাইপারদের গুলিতে নিহত ফিলিস্তিনি তরুণী তার শেষ ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন- আমি ফিরে আসবই এবং কখনই পিছু হটব না। তারা আমাকে গুলি করুক, তাতে আমি ভীত নই।
২১ বছর বয়সী রাজন আল নাজ্জার নামে ওই তরুণী ইসরাইলের গুলিতে আহত ফিলিস্তিনিদের চিকিৎসাসেবা দিচ্ছিলেন। তিনি সেখানে একটি বেসরকারি সংস্থার স্বেচ্ছাসেবী হয়ে কাজ করেন। সমানব সেবার বিনিময়ে রাজনকে তার প্রাণ দিতে হয়েছে। যখন তিনি আহত বিক্ষোভকারীকে উদ্ধার করতে যাচ্ছিলেন, তখন পরিষ্কারভাবে তার দুই হাত উপরে উঠিয়ে রেখেছিলেন। ১৯৪৮ সালে ইহুদি সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলায় থেকে প্রায় সাড়ে সাত লাখ ফিলিস্তিনি নিজেদের বসতবাড়ি থেকে বিতাড়িত হন।
এসব ফিলিস্তিনি পার্শ্ববর্তী আরব দেশ, অধিকৃত পশ্চিমতীর ও গাজায় শরণার্থী হিসেবে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তাদের নিজেদের ভূমিতে ফিরে যাওয়ার অধিকার দাবিতে গত ৩০ মার্চ থেকে ‘গ্রেট মার্চ ফর রিটার্ন’ আন্দোলন শুরু হয়েছে। এতে এখন পর্যন্ত ১২৫ নিরপরাধ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
এ ছাড়া গত একযুগ ধরে গাজা উপত্যকাটি অবরুদ্ধ করে রেখেছে ইহুদিবাদী ইসরাইল। সেখানে সীমান্ত দিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রীও প্রবেশ করতে দেয়া হয়। এতে উপত্যকাটি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় কারাগারে রূপান্তরিত হয়েছে। সেখানকার অর্থনীতিও প্রায় ধ্বংস হয়ে গেছে।
গত ১৪ মে তেলআবিব থেকে জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাস স্থানান্তরের প্রতিবাদে ফিলিস্তিনিরা বিক্ষোভে ফেটে পড়লে ইসরাইলি স্নাইপারদের গুলিতে ৬২ জন নিহত হন। মানবাধিকার সংস্থাগুলো ইসরাইলের বিরুদ্ধে নিরস্ত্র বিক্ষোভকারীদের ওপর অতিরিক্ত বলপ্রয়োগের অভিযোগ তোলেন।