প্রচ্ছদ জাতীয় আবারও বুড়িগঙ্গায় উচ্ছেদ অভিযান শুরু

আবারও বুড়িগঙ্গায় উচ্ছেদ অভিযান শুরু

বুড়িগঙ্গা ও তুরাগ নদীর তীর দখল করে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা ১৪ দিন বিরতির পর আবারও উচ্ছেদে নেমেছে বিআইডব্লিউটিএ। আগামী ২৮ মার্চ পর্যন্ত চারটি পর্যায়ে মোট ১২ দিন এ অভিযান চলবে। এটি চলমান অভিযানের দ্বিতীয় পর্ব।

বিআইডব্লিউটিএর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আজ (মঙ্গলবার) বছিলা থেকেই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে। মাসব্যাপী এ অভিযান চলবে। প্রতি সপ্তাহে তিনদিন করে অর্থাৎ মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতি এই তিনদিন অভিযান চালানো হবে। তবে শেষ সপ্তাহে রবি ও সোমবার অভিযান চলবে।

বিআইডব্লিউটিএর যুগ্ম পরিচালক এ কে এম আরিফ উদ্দিন জানান, আজ থেকে শুরু হওয়া দ্বিতীয় ধাপে বসিলার নিকটবর্তী বুড়িগঙ্গার তীরে হাইক্কার খাল ও তুরাগের তীরে শুরু হওয়া উচ্ছেদ অভিযান চলবে আগামী ১২ কার্যদিবস। এর আগে প্রথম দফায় গত মাসের ২০ তারিখ পর্যন্ত অভিযান চালানো হয়েছিল। ওই অভিযানে ১ হাজার ৮৪৩টি অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ। এরমধ্যে যেমন বহুতল ভবন রয়েছে। রয়েছে পাকা, আধাপাকা এবং টিনশেড স্থাপনা।

গত মাসের ২৯ জানুয়ারি থেকে নদীরক্ষায় উচ্ছেদ অভিযানে ক্র্যাশ প্রোগ্রাম শুরু করে তারা। প্রথম দফার অভিযান শেষে বিআইডব্লিউটিএ জানায়, ১ হাজার ৮৪৩টি উচ্ছেদকৃত স্থাপনার মধ্যে রয়েছে ১৬৬টি বহুতল ভবন। বিআইডব্লিউটিএর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বহুতল ভবনের মধ্যে রয়েছে ১তলা থেকে ৬তলা ভবন পর্যন্ত। এবারের উচ্ছেদ অভিযানে কোন প্রভাবশালী বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি। এছাড়া উচ্ছেদ অভিযানে ৩০ একর জমি উদ্ধার করা হয়। অবৈধ স্থাপনা গড়ে তোলার অভিযোগে অনেককে জরিমানাও করা হয়েছে এবার। বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে ১ লাখ ১৫ হাজার টাকার জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এছাড়া এই অভিযানে আধাপাকা স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে ৩৪১টি। টিনশেড স্থাপনা ভাঙ্গা হয়েছে ১ হাজার ৩৩৬টি।

বিআইডব্লিউটিএর কর্মকর্তারা জানান, বুড়িগঙ্গাসহ সারাদেশে নদীরক্ষায় জিরো টলারেন্স নীতি নেয়া হয়েছে। এই লক্ষ্যে গত ২৯ জানুয়ারি থেকে বুড়িগঙ্গায় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করছে বিআইডব্লিউটিএ। প্রথম দফায় অভিযান শেষ হয় ২০ ফেব্রুয়ারি। নদীর সব দখল উচ্ছেদ করে অচিরেই নদীর ওপর মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে লাগাতার উচ্ছেদ চলছে। নদী দখলমুক্ত করতে ক্র্যাশ প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে এবারের অভিযান চালানো হচ্ছে। নদীকে দখলমুক্ত না করা পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে।