প্রচ্ছদ রাজনীতি আচরণবিধি ভঙ্গে পদেক্ষপ নেই ইসির : বিএনপি

আচরণবিধি ভঙ্গে পদেক্ষপ নেই ইসির : বিএনপি

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ আচরণবিধি লঙ্ঘন করছে অভিযোগ করে বিএনপি বলেছে, এর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না, উল্টো বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে।

শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এই অভিযোগ তুলে বলেন, ‘বিগত ৫ জানুয়ারির মতো আরেকটি একতরফা ও প্রহসনমূলক নির্বাচন আয়োজনের দিকে যাচ্ছে আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনে সরকারি দলকে বিশেষ সুবিধা দিচ্ছে বর্তমান কমিশন। সরকার প্রতিনিয়ত আচরণবিধি ভঙ্গ করলেও কোন ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।’

তিনি বলেন, ‘বিরোধী দলকে যেখানে নির্বাচন কমিশন আইন অনুযায়ী প্রাপ্য কোনো ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে না, সেখানে সরকারি দলকে নানা ধরনের তথ্য দিয়ে সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। আগারগাঁওয়ে অবস্থিত নির্বাচন ভবনে সরকারি দলের লোকজনদের অবাধ বিচরণ ঘটছে। নির্বাচন ভবনটি আজ আওয়ামী লীগের অফিসে পরিণত হয়েছে। আওয়ামী লীগের নির্দেশেই পরিচালিত হচ্ছে নির্বাচন কমিশনের কিছু কর্মকর্তা।’

রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনে দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার করা হলেও এখন পর্যন্ত মন্ত্রী-এমপিরা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানসহ নানা অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছেন, বক্তব্য রাখছেন। কিন্ত এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো প্রকার আচরণবিধি তৈরি হয়নি। পুরো নির্বাচন ব্যবস্থায় জগাখিচুড়ি অবস্থা বিরাজ করছে। নির্বাচনী আচরণবিধি প্রতিপালন না ঘটিয়ে বরং সরকার বিরোধীদেরকে নানাভাবে কোণঠাসা করা হচ্ছে। অন্যদিকে সরকার আচরণবিধি ভঙ্গ করলেও নির্বাচন কমিশন থেকে কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘সরকারের নির্দেশ প্রতিফলনের জন্য নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব কর্মকর্তাদের সাথে নিয়মিত নির্বাচন ভবনে অফিস করছেন আওয়ামী লীগের নির্বাচন বিষয়ক উপকমিটির সদস্য মুস্তাফিজুর রহমান বাবলা। ২০১৭ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশনের সাথে আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান এইচ টি ইমামের নেতৃত্বে ২১ সদস্যের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে যে সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছিল সেই প্রতিনিধি দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন এই মুস্তাফিজুর রহমান বাবলা। এরপর সর্বশেষ গত ৭ নভেম্বর ও ১৪ নভেম্বর দুই দফা আওয়ামী লীগ প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসেবে নির্বাচন কমিশনে যান বাবলা।’

মুস্তাফিজুর রহমান বাবলা নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের ভয়-ভীতি দেখিয়ে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে থাকেন অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘এই বাবলার ভয়ে তটস্থ নির্বাচন কমিশনের বিভিন্ন স্তরের মেধাবী কর্মকর্তারা। গোপনে তথ্য না দিলে তাদেরকে সরকারবিরোধী লোক বলে অভিযুক্ত করে বদলিসহ নানা ধরনের হুমকি-ধামকি দিয়ে থাকেন তিনি। গত এক দেড় বছরে এ ধরনের অসংখ্য ঘটনা নির্বাচন কমিশনের নজরে আনা হলেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালউদ্দিন আহমদ নানাভাবে বাবলাদের সাহায্য সহযোগিতা করে থাকেন।’

বাবলা ইসির গোপনীয় তথ্য আওয়ামী লীগের অফিসে পাচার করে থাকেন দাবি করেন বিএনপির এই নেতা।

নয়াপল্টনে সংঘর্ষের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিএনপি নেতা নিপুণ রায় এবং ছাত্রদল নেতা আরিফা সুলতানা রুমাকে গ্রেপ্তারের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান রিজভী। তিনি অবিলম্বের তাদের মুক্তি দাবি করেন।