ইয়াবা, ফেনসিডিলসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্যের ভয়াল ছোবলে আক্রান্ত তরুণ প্রজন্ম। দেশব্যাপী মাদকের এমন মহামারি অবস্থা দূর করতে এবং মাদক নির্মূলে জোর অভিযান পরিচালনা করছে সরকার। পুলিশ, র্যাবসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে টাস্কফোর্স। অর্ধমাসের বেশি সময় ধরে দেশজুড়ে চলা অভিযানে এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ২৬ জন, যাঁদের প্রায় সবাই মাদক ব্যবসায়ী বলে দাবি করেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর।
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষকারী বাহিনীর দাবি, নিহত সবার বিরুদ্ধেই একাধিক মামলা ছিল। আর প্রত্যেকেই নিহত হয়েছে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ যেখানে নিজেদের বাঁচাতেই আইন-শৃ্ঙ্খলা বাহিনী গুলি চালিয়েছে।
একাধিক শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, প্রতিটি ক্ষেত্রেই অভিযান চালানোর সময় মাদকব্যবসায়ী বা পাচারকারীরা নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর পাল্টা গুলি ছুঁড়েছে। এর পর আত্মরক্ষার জন্য নিরাপত্তা বাহিনী পাল্টা গুলি চালালে তারা নিহত হয়।
এ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল গণমাধ্যমকে বলেন, মাদকব্যবসার সঙ্গে সন্ত্রাসী-অস্ত্রবাজরা জড়িত হয়ে পড়েছে এবং যেখানেই তাদের চ্যালেঞ্জ করা হচ্ছে সেখানেই তারা আক্রমণ করে বসছে। আক্রমণ করলে তো পাল্টা আক্রমণ হবেই, সেই কাউন্টার অ্যাটাকেই এ ঘটনাগুলো ঘটছে।
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, প্রতিটি অভিযানেই ইয়াবা, ফেনসিডিলসহ নানা ধরনের মাদকদ্রব্য বিপুল পরিমাণে উদ্ধার করা হয়েছে। এই মাদক পরে ধ্বংস করা হবে বলে জানিয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
মাদক নির্মূলে অভিযান প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গণমাধ্যমকে বলেন, মাদক বিশেষ করে ইয়াবা দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে বহুভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সরকার। মাদক সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য জনগণকে উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা চলছে।
মাদকবিরোধী প্রচার অভিযানের অংশ হিসেবে মানুষকে সচেতন করতে রোববার নিরাপত্তা বাহিনী ঢাকায় স্টিকার বিতরণ কর্মসূচি পালন করেছে।