গতকাল শনিবার বিকেলে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর চারজন ব্যক্তিগত চিকিৎসক সোয়া ঘণ্টা কারাগারে অবস্থান ও খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষার করেন। পরে কারাগারের বাইরে এসে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এফ এম সিদ্দীকি বলেন, ‘জুনের ৫ তারিখে উনি (খালেদা জিয়া) হঠাৎ করে দাঁড়ানো অবস্থা থেকে অজ্ঞান হয়ে পড়ে গিয়েছিলেন। দুপুরবেলা ১টার সময়। প্রায় ৫/৭ মিনিট উনি আনকনসাস ছিলেন। উনি মনেই করতে পারছেন না যে, কী ঘটেছিল। মাইল্ড ফর্মে একটা স্ট্রোকের মতো হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। যদি টিআইএ (ট্রানজিয়েন্ট এস্কেমিক অ্যাটাক) কারো হয়, তাহলে সেটা ইন্ডিকেট করে সামনে তাঁর একটা স্ট্রোক হওয়ার আশঙ্কা খুব বেশি থাকে।’
এর ঘণ্টা দুয়েক পর কারা অধিদপ্তরের ইফতার মাহফিলে অংশ নিয়ে বেরিয়ে এলে সাংবাদিকরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে এ ব্যাপারে জানতে চান। তখন তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়ার মাথা ঘুরে পরে যাওয়ার বিষয়ে কারা কর্তৃপক্ষ অবগত নয়। তারপরও চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী খালেদা জিয়ার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে। রিপোর্ট পেলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আজ খালেদা জিয়ার মামলার শুনানি শেষে সাংবাদিকরা ই বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেলের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘শুধুমাত্র জামিন নেওয়ার ক্ষেত্রে সহানুভূতি পেতে বিএনপির আইনজীবীরা মিথ্যাচার করছে। আমি আজ মামলার শুনানির আগে আইজি প্রিজনের সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলেছি। তিনি বলেছেন, খালেদা জিয়া ৫ জুন ইফতারির আগ-মুহূর্তে সুগার কম থাকায় দাঁড়ানো থেকে একটু ঘুরে গিয়েছিলেন। অজ্ঞান হওয়ার কথাটি সঠিক নয়। বরং রোজার কারণে তার সুগার কমে গিয়েছিলো।’
এ সময় মামলার ব্যাপারে মাহবুবে আলম বলেন, ‘কুমিল্লায় আজ খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে একটি মামলার শুনানি ছিলো। কিছু সময় শুনানির পর আদালত আজকের মতন মুলতবি ঘোষণা করে হয়। শুনানিকালে আদালতকে আমরা জানিয়েছি, খালেদা জিয়ার অজ্ঞান হওয়ার বিষয়টি সঠিক নয়।’
জামিন পেতে হলে অ্যাটর্নি জেনারেলের সম্মতি লাগবে বিএনপির আইনজীবীদের এমন মন্তব্যের জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘এ ধরনের মন্তব্য আদালত অবমাননার শামিল। খালেদা জিয়া তো অনেক মামলায় জামিন পাচ্ছেন। তাঁরা শুধু শুধু মিথ্যাচার করছেন।’